—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পরে এ বার উত্তর আফ্রিকার কোনও দেশ থেকে চিতা আমদানি করা হবে মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর জাতীয় উদ্যানে। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের একটি সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। আর সেই সঙ্গেই ‘ব্যাখ্যা’ মিলেছে এমন সিদ্ধান্তের।
ওই সূত্রের দাবি, নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার চিতা দেহে কুনোর গ্রীষ্মের মরসুমেও শীতের উপযোগী বড় লোম গজিয়েছে। এর ফলে উষ্ণতা এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তির কারণে ওই চিতাদের বার বার দেহ চুলকোতে দেখা গিয়েছে। সেই প্রবণতা থেকে দেহে তৈরি হয়েছে ক্ষত। আর ম্যাগট (একজাতীয় পোকা) সংক্রমণে ওই ক্ষত বিষিয়ে (সেপ্টিসিমিয়া) মারা পড়েছে কয়েকটি চিতা।
এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় উত্তর আফ্রিকার উষ্ণতর আবহাওয়ার অঞ্চল থেকে চিতা আনার পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। পরিবেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বন) জানিয়েছেন, কুনোয় চিতার মৃত্যু ঠেকাতে ব্রিটেন এবং আমেরিকার কয়েক জন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, উত্তর আফ্রিকা থেকে চিতা আনা হলে তা ভারতের আবহাওয়ার পক্ষে উপযুক্ত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা ভারতে আনা হয়েছিল। কুনোর জঙ্গলে তাদের খাঁচা উন্মুক্ত করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় আরও ১২টি। এই ২০টি চিতার মধ্যে ন’টি ইতিমধ্যেই মারা পড়েছে। ভারতে জন্মানো দু’টি সদ্যোজাত চিতা শাবকও মারা গিয়েছে কুনোয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy