—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী সরকার আস্তিন থেকে ‘তুরুপের তাস’ বার করল। কেন্দ্র আজ অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের ঘোষণা করেছে। দিল্লির, বিশেষ করে নয়াদিল্লির ভোটারদের একটা বড় অংশ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। তাঁদের জন্য ‘মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা’ হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অষ্টম বেতন কমিশনের সিদ্ধান্ত মঞ্জুর করেছে। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের ১ কোটিরও বেশি সরকারি কর্মচারী, পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করে দেওয়ার পরে আজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা রাজ্যে সপ্তম কমিশন গঠন ও বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
কেন্দ্রের শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য কোনও সুরাহা থাকবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। মধ্যবিত্তের হাতে বাড়তি খরচের অর্থ তুলে দিতে বিভিন্ন মহল থেকে আয়করে ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। যাতে বাজারে কেনাকাটা বাড়ে। আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আসে। বেতন কমিশন কার্যকর হলে সরকারি কর্মীদের হাতে টাকা আসবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ৫০ লক্ষ কর্মী ও সামরিক বাহিনীর কর্মী, ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগীরা মধ্যবিত্তদেরই অংশ। তাঁদের সুরাহা হবে। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী, দিল্লির সরকারের কর্মী, সামরিক বাহিনী মিলিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ সরকারি কর্মী থাকেন। তাঁরা উপকৃত হবেন। দিল্লি সরকারের কর্মীরাও কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন পান। ভোটের আগে এই সিদ্ধান্ত তাঁদের মন জয়ের অব্যর্থ দাওয়াই বলে রাজনৈতিক শিবিরের ব্যাখ্যা। এ দিন বেতন কমিশন নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স-হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘অষ্টম বেতন কমিশনের সিদ্ধান্তে জীবনযাত্রার মান বাড়বে, কেনাকাটার বাজার চাঙ্গা হবে।’’ কেন্দ্রীয় সচিবালয় সার্ভিস ফোরাম এই সিদ্ধান্তের জন্য মোদী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হয় ২০১৬-র ১ জানুয়ারি থেকে। মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৫-এর ৩১ ডিসেম্বর। কেন্দ্রের সপ্তম বেতন কমিশন ন্যূনতম বেতনের অঙ্ক বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা করেছিল। ‘গ্রেড পে’ ব্যবস্থার বদলে নতুন ‘পে ম্যাট্রিক্স’ চালু করেছিল। বাড়তি বেতন দিতে গিয়ে ২০১৬-১৭-তে কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বেড়ে গিয়েছিল।
অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হবে আগামী বছর, ২০২৬-এর ১ জানুয়ারি থেকে। সাধারণত বেতন কমিশনের মেয়াদ ১০ বছর হয়। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, খুব শীঘ্র বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান ও দুই সদস্য নিয়োগ করা হবে। কমিশন রাজ্য সরকার ও সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করবে।
পশ্চিমবঙ্গে এখন ষষ্ঠ বেতন কমিশন চলছে। যার মেয়াদ ২০২৫-এর শেষে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। আজ কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কবে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করবে? এমনিতেই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক এখন ৩৯ শতাংশ বিন্দু। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা ঝুলে রয়েছে। মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “মনে হচ্ছে, রাজ্যের সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করতে দেরি হবে। মূল্যবৃদ্ধির হার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারী, সকলের জন্যই এক। এ দিকে কেন্দ্র, রাজ্যের কর্মীদের ডিএ-র এতখানি ফারাক। ফলে রাজ্যের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।” সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশীস শীল বলেন, অবিলম্বে রাজ্য বকেয়া ৩৯ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy