প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকা এবং মিশরের দীর্ঘ সফর সেরে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডাকে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম প্রশ্ন, ‘‘দেশে কী চলছে?’’
প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর সেরে ফিরলে বিমানবন্দরে মন্ত্রিসভার কতিপয় সদস্য তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়েই থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে। কিন্তু দেশের বাইরে সফরে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকে তাঁর গোটা কার্যালয়। আজকের তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তো বটেই, অতীতেও দেশে কী ঘটনাক্রম চলছে, তা বিদেশসফররত প্রধানমন্ত্রীকে নিয়মিত জানানো হত। সেটাই নিয়ম। স্বাভাবিক ভাবেই নরেন্দ্র মোদীর আজকের এই প্রশ্ন তাই কৌতূহল এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, এটি একটি ‘অদ্ভুত’ প্রশ্ন। নরেন্দ্র মোদী কি দেশের কোনও খোঁজই রাখার প্রয়োজন মনে করেননি?
রবিবার গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন নড্ডা এবং বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন হর্ষবর্ধন, হংস রাজ হংস, গৌতম গম্ভীরের মতো দিল্লির সাংসদেরা। তবে এঁরা কেউ নন, প্রধানমন্ত্রীর বিমান থেকে নেমে নড্ডাকে করা প্রশ্নটি ‘ফাঁস’ করে দিয়েছেন বিজেপির আর এক সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। তিনিই সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নড্ডাজির কাছে জানতে চান দেশে কী চলছে। নড্ডাজি তাঁকে বলেন, দলের নেতারা মানুষের কাছে সরকারের ন’বছরের কাজের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে। দেশ আনন্দেই রয়েছে।’’
এর পরেই কংগ্রেস শিবির প্রশ্ন তুলেছে, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গিয়েছেন বলে দেশের কোনও খবরই কি তিনি রাখেন না? কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেছেন, “মণিপুর নিয়ে সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী গভীর ভাবে এই সঙ্কটের দিকে নজর রাখছেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর পক্ষে ফিরে এসে এই প্রশ্ন করা খুবই অদ্ভুত। যাই হোক এখন যেহেতু তিনি ফিরে এসেছেন, আশা করা যায় ৫৫ দিনের নীরবতা ভঙ্গ করে মণিপুর নিয়ে তিনি কিছু বলবেন।” আজ মোদীকে মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন অমিত শাহ।
প্রধানমন্ত্রী অবশ্য কালক্ষয় না করে ভোটমুখী রাজ্য মধ্যপ্রদেশ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। মঙ্গলবার ভোপালে তাঁর দীর্ঘ পথযাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনায় সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। কাল সকাল সাড়ে দশটার সময় রানি কমলাপতি রেল স্টেশন থেকে পাঁচটি বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন মোদী। বক্তৃতাও দেবেন। যে ট্রেনগুলি চালু হবে সেগুলি হল ভোপাল-ইন্দোর, ভোপাল-জবলপুর, রাঁচী-পটনা, ধারওয়াড়-বেঙ্গালুরু এবং গোয়া-মুম্বই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy