নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
আত্মনির্ভর ভারত গড়ার পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে কৃষিতে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হওয়ার ডাক ফের দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ করলেন তার জন্য সবার আগে কৃষি পরিকাঠামো পোক্ত করার প্রয়োজনীয়তাও। কিন্তু সেই পরিকাঠামো নির্মাণে বিপুল বিনিয়োগ কোথা থেকে আসবে, সেই উত্তর অমিলই রইল বক্তব্যে।
শনিবার অনলাইনে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে রানি লক্ষ্মী বাঈ কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সেই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, আত্মনির্ভর ভারত গড়ার প্রথম শর্ত কৃষিতে স্বনির্ভরতা, যাতে এক মুঠো খাদ্যপণ্যও আমদানি করতে না-হয়। বরং এ দেশে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং উন্নত মানের কৃষিপণ্য রফতানি করা যায় সারা বিশ্বে। তার হাত ধরে শ্রীবৃদ্ধি হয় গ্রামীণ অর্থনীতির। কাজের বিপুল সুযোগ তৈরি হয় ঘরের কাছেই।
কিন্তু এই স্বপ্নপূরণের জন্য যে সবার আগে কৃষি পরিকাঠামো নির্মাণে জোর দেওয়া জরুরি, তা মেনেছেন তিনি। জোর দিয়েছেন, কৃষিপণ্য রাখার গুদামঘর, হিমঘর তৈরির উপরে। বীজ বপন থেকে শুরু করে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে উন্নত প্রযুক্তির হাত ধরার বন্দোবস্ত করতে কেন্দ্র তৎপর বলেও তাঁর দাবি।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সরকার তো কৃষি পরিকাঠামো তৈরির কথা বলছে অনেক দিন থেকেই। কিন্তু তার জন্য ব্যয়-বরাদ্দের উদ্যোগ কোথায়? এমনিতেই কৃষি-পরিকাঠামোয় টাকা ঢালতে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থার সংখ্যা বেশি নয়। তার উপরে এই করোনা-কালে চাহিদায় ভাটার এই অর্থনীতিতে লগ্নি করতে এগিয়ে আসবে কে? তাই কেন্দ্র টাকা না-ঢাললে, এগুলি শুকনো প্রতিশ্রুতিই থেকে যাবে।
আরও পড়ুন: দল সামলাতে বিজেপিকে আক্রমণই কৌশল সনিয়ার
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, আগামী দিনে গ্রামীণ এলাকায় স্কুলে কৃষিকাজ বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে। সেই বন্দোবস্ত নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিতে করা হয়েছে। এতে নতুন প্রজন্মের চাষের প্রতি আগ্রহ যেমন বাড়বে, তেমনই তাদের মুখে শুনে কৃষির নবতম প্রযুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াকিবহাল হতে পারবে চাষি পরিবার। কিন্তু সেখানেও প্রশ্ন, তার জন্য প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক কোথায়? গ্রামের অধিকাংশ স্কুলে যেখানে সাধারণ বিষয়েরই শিক্ষক বাড়ন্ত, সেখানে এমন বিশেষ বিষয় পড়ানোর শিক্ষক থাকবেন ক’টি স্কুলে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy