রাহুল গাঁধী এবং সনিয়া গাঁধী। —ফাইল চিত্র।
ঠিক প্রধানমন্ত্রী যখন বলা শুরু করলেন, লোকসভায় প্রবেশ করলেন রাহুল গাঁধী। সামনের সারিতে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বসলেন। বিজেপি শিবির থেকে ‘মোদী-মোদী’ ধ্বনির সঙ্গেই কটূক্তি উড়ে এল রাহুলের দিকে। নিজের দলের নেতাদের মন জানেন মোদী। তাই রাহুলের উদ্দেশে কিছু বাছাই করা শব্দের চিত্রনাট্য আগেই তৈরি ছিল। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদ জ্ঞাপন বিতর্কে কংগ্রেসের প্রধান বক্তা ছিলেন অধীর চৌধুরী। যিনি গত কালই বলেছিলেন, কংগ্রেসের সংখ্যা কমলেও উচ্চতা কমানো যাবে না। চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন, এত দিন ‘চোর’ অপবাদ দিয়েও কেন রাহুল-সনিয়াকে জেলে পাঠাতে পারছেন না মোদী-অমিত? সে কথাগুলিই লুফে নিয়ে গোটা গাঁধী পরিবারকে বিঁধলেন মোদী।
গত কাল অধীরের মুখে গাঁধী পরিবারের ভূরি-ভূরি অবদানের কথা সুকৌশলে টেনে এনে মোদী আজ বলেন, ‘‘আজ তো ২৫ জুন।’’ বলে থেমে যান। পাশে বসা অধীরকে তখন কিছু জিজ্ঞাসা করছিলেন রাহুল। নজর এড়ায়নি প্রধানমন্ত্রীর। বললেন, ‘‘২৫ জুনের মানে কী, অনেকে তা-ও জানেন না। আশপাশে জিজ্ঞাসা করতে হচ্ছে। ২৫ জুনের রাতে দেশের আত্মাকে দমন করে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। গোটা দেশকে জেলখানা করা হয়েছিল।… এখন তো আমাদের দোষ দেওয়া হচ্ছে, কাউকে জেলে পাঠাচ্ছি না কেন? এটা জরুরি অবস্থা নয় যে, সরকার কাউকে জেলে পাঠাবে। এ কাজ আদালতের। বদলার ভাবনায় কাজ হওয়া উচিত নয়। আর দেশ আমাদের এত কিছু দিয়েছে, ভুল পথে যাওয়ার দরকারও নেই।’’
বিজেপি শিবিরে তখন অট্টহাসি। মোদী আরও একটু রসিকতা জুড়ে বললেন, ‘‘কেউ যদি জামিনে মুক্ত থাকেন, তো সেটা উপভোগ করুন।’’ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া-রাহুল জামিন পেয়েছেন, সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সে সঙ্গে ‘উচ্চতা’ নিয়েও ব্যঙ্গ করে বললেন, ‘‘কাল বলা হল, উচ্চতা কেউ কম করতে পারবে না। এমন ভুল আমরা করি না। আপনাদের উচ্চতা এতটাই যে জমিও দেখতে পান না, শিকড়ও উপড়ে গিয়েছে। আমরা আরও গভীরে গিয়ে শিকড় শক্ত করতে চাই। ফলে আপনারা আরও উঁচু, আরও উঁচু, আরও উঁচুতে যান।’’
রাহুলের ‘ছুটি’ নিয়েও কটাক্ষ করেন মোদী। বলেন, ‘‘আমাদেরও মন করতে পারত ভোটে এত পরিশ্রমের পর একটু আরাম করতে। কিন্তু সরকার গঠনের মাত্র তিন সপ্তাহেই আমরা মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছি।’’ মোদীর কথা শুনে শশী তারুর বলেন, ‘‘আমরা জমি দেখতে পাচ্ছি না, সেটি কি ঠিক? না কি দেশে নিরন্তর যা ঘটে চলছে, প্রধানমন্ত্রীই তা দেখছেন না বা দেখাতে চাইছেন না?’’ অধীর বলেন, ‘‘কৃষি সঙ্কট থেকে বেকারি, শিল্পের মন্দা থেকে শিশুমৃত্যু— আমজনতার একটি বিষয় নিয়েও কথা বললেন না প্রধানমন্ত্রী। আমরা ভেবেছিলাম, দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রনায়কের মতো কথা বলবেন। কিন্তু তিনি এখনও ভোটেই আছেন।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy