নানা পাটোল। ফাইল চিত্র।
স্পিকার পদের প্রার্থী দিয়েও শেষ মুহূর্তে নাম তুলে নিলেন দেবেন্দ্র ফডণবীসরা। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন কংগ্রেস বিধায়ক নানা পাটোল।
ঘটনাচক্রে বরাবরই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্পিকার নির্বাচিত হয়ে এসেছে মহারাষ্ট্রে। জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেস থেকে নানা পাটোলকে স্পিকার পদের জন্য মনোনীত করা হয়। তাঁকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতেই কিসান কাঠোরকে পাল্টা প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে বিজেপি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরুর আগেই শেষ হয়ে যায়। প্রোটেম স্পিকার দিলীপ ওয়ালসে পাটিল ঘোষণা করেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে কাঠোরের নাম তুলে নিচ্ছে বিজেপি।
কেন নাম তুলে নেওয়া হল? এ প্রসঙ্গে দেবেন্দ্র ফডণবীস বলেন, “প্রতিবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন স্পিকার। এটা বিধানসভার একটা ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যের কথা ভেবে এবং অন্য দলের বিধায়কদের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিল বিজেপির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে আর্থিক মন্দা কই! পুঁথিগত তত্ত্বকে ঢাল নরেন্দ্র মোদী সরকারের
আরও পড়ুন: ডায়েরি নেয়নি থানা, অভিযোগ বাবার || ধর্ষক-খুনিদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হোক, চাইছেন মা
স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর পাটোলের প্রশংসা করেন দেবেন্দ্র ফডণবীস ও মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। উদ্ধব বলেন, “আমি খুব খুশি যে, এক জন কৃষকের ছেলে এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।” বিদর্ভ অঞ্চলের কুনাবি সম্প্রদায় থেকে উঠে এসেছেন নানা পাটোল। ২০১৪-তে বিজেপিতে যোগ দেন। সে বছরের লোকসভা নির্বাচনে ভান্ডারা-গোন্ডিয়া ক্ষেত্র থেকে এনসিপি নেতা প্রফুল পটেলকে হারান। কিন্তু পরে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে এসে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নাগপুর থেকে প্রার্থী হন নিতিন গডকড়ীর বিরুদ্ধে। কিন্তু এ বার হেরে যান। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে সাকোলি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন পাটোল। দেবেন্দ্র ফডণবীসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পরিণয় ফুকেকে হারিয়ে দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy