—ফাইল চিত্র।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে মিজ়োরামে আশ্রিত মায়ানমার সেনার জওয়ানেরা দেশে ফিরতে পারছেন না বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা৷ প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় উভয় রাষ্ট্রের সবুজ সঙ্কেত পেলেও ভারতীয় বিমানবাহিনীর যে কপ্টারের তাঁদের নিয়ে যাওয়ার কথা, প্রবল বর্ষণে দু’দিন ধরে সেটি আইজলে নামতে পারছে না৷
জঙ্গিদের হামলায় পালিয়ে বৃহস্পতিবার মিজ়োরামে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন মায়ানমার সেনার আরও ২৯ অফিসার-জওয়ান৷ সীমান্ত থেকে তাঁদের মর্যাদার সঙ্গে নিয়ে আসে মিজ়োরাম পুলিশ৷ পরে তুলে দেয় আসাম রাইফেলসের হাতে৷ তখন থেকে তাঁরা চাম্পাইয়ে আসাম রাইফেলস শিবিরে রয়েছেন৷
বুধবার রাতে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন তুইবোয়াল গ্রামের সেনা শিবিরে হামলা করে জঙ্গি সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)৷ মায়ানমারের ২৯ জওয়ান পালিয়ে প্রাণ বাঁচান৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক জন মেজর এবং এক জন ক্যাপ্টেনও৷ সেনা শিবির থেকে কয়েক কিলোমিটার দৌড়ে তাঁরা তিয়াউ নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার অনুমতি চান৷ বৃহস্পতিবার ভোরে সাইখুমগ্রামে এসে মিজ়োরাম পুলিশের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন৷ চিন প্রদেশে ওই সংঘর্ষের দরুন শুধু সেনাঅফিসার-জওয়ানরাই নন, মিজ়োরামে আশ্রয় নিয়েছেন সে দেশের ৬৩ গ্রামবাসীও৷
এর আগেও ৪৫ জন জওয়ান একই ভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যটিতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ তাঁদেরও ভারতীয় সেনা ও বিমান বাহিনী যৌথ ভাবে নিজ দেশে প্রত্যর্পণ করে৷ গত এক সপ্তাহে ১৪০০-র বেশি নারী-পুরুষ-শিশু মায়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে মিজ়োরামের চাম্পাই জেলায় প্রবেশ করেন৷ জেলা প্রশাসন তাঁদের শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে৷ ২০২১ সালে জুন্টা সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ৩২০০০ মানুষ মায়ানমার থেকে পালিয়ে মিজ়োরামে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ তাঁরা আজও শরণার্থী হিসেবে মিজ়োরামেই রয়েছেন৷ পুরনো সংখ্যার সঙ্গে বৃহস্পতিবার ১৪০০ জন যোগ হল৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy