ফাইল চিত্র।
মুজফ্ফরনগর দাঙ্গা মামলায় রেহাই পেলেন সাধ্বী প্রাচী, বিজেপি নেতা সুরেশ রানা, সঙ্গীত সোম, উমেশ মালিক-সহ অন্তত ৩০ জন। ওই মামলায় বিজেপি নেতারা ছাড়াও অভিযুক্ত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ভারতেন্দ্র সিংহ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধ্বী প্রাচী। বৃহস্পতিবার যোগী আদিত্যনাথ সরকারের অনুরোধ মেনে এঁদের সকলের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নিল মুজফ্ফরনগরের বিধায়ক-মন্ত্রীদের জন্য গঠিত বিশেষ আদালত।
মুজফ্ফরনগরের অতিরিক্ত জেলাশাসকের আইনজীবী (এডিজিসি) ললিত ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ১ বছর আগে এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিশেষ আদালতের কাছে অনুরোধ করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার সেই অনুরোধ মেনে নেয় আদালত।
ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, গত বছরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আদালতের কাছে চিঠি দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। পাশাপাশি, মুজফ্ফরনগরের তৎকালীন এডিজিসি সুভাষ সাইনিও এই মর্মে বিশেষ আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেছিলেন। ভরদ্বাজ বলেন, ‘‘১ বছর ধরেই এই মামলায় নির্দেশ ঝুলছিল। অবশেষে, বৃহস্পতিবার আদালত তা মেনে নিয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের অগস্টে অভিযুক্তদের উস্কানিমূলক ভাষণের জেরেই মুজফ্ফরনগরের একাধিক জায়াগায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছিলেন। যার মধ্যে বেশির ভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। পাশাপাশি, ওই দাঙ্গায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছিলেন। চলতি মাসেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল মুজফ্ফরনগর দাঙ্গার তদন্ত বন্ধের রিপোর্ট বিশেষ আদালতে পেশ করেছিল।
স্বাভাবিক ভাবেই, আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি-র মুজফ্ফরনগরের জেলা সভাপতি বিজয় শুক্ল। তাঁর কথায়, ‘‘সমাজবাদী সরকারের আমলে আমাদের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।’’ যদিও এই মামলা প্রত্যাহারের পর এ নিয়ে সরব হয়েছেন সমাজবাদী দলের নেতৃত্ব। দলের নেতা সুধীর পানওয়ার বলেন, “এ ধরনের ঘৃণ্য কাণ্ডে জড়িত থাকার পরেও অভিযুক্তরা ছাড়া পেলে সমাজের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছয়। বিজেপি নেতারা ফের মেরুকরণের তাস খেলতে পারেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy