Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Ayodhya

নমাজ পড়লেই কি জায়গা ছেড়ে দিতে হবে? অযোধ্যা মামলায় তর্ক সুপ্রিম কোর্টে

১৫২৮-’২৯ সালের মধ্যে  মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশে অযোধ্যার ওই জায়গায় বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০১৯ ২০:৫২
Share: Save:

বাবরি মসজিদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে ইতিমধ্যেই অযোধ্যার বিতর্কিত জমির পুরো দখল চেয়েছে নির্মোহী আখড়া। এ বার সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে জমির ভাগ দিতে অস্বীকার করল অযোধ্যা মামলার অন্যতম পক্ষ ‘রামলালা বিরাজমান’। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার সপ্তম দিনের শুনানি চলাকালীন তারা জানায়, বিতর্কিত ওই জায়গায় মুসলিমরা নমাজ পড়ে থাকতেই পারে। তাই বলে ওই জায়গার উপর তাদের অধিকার জন্মায় না।

‘রামলালা বিরাজমান’-এর হয়ে এ দিন আদালতে সওয়াল করছিলেন প্রবীণ আইনজীবী সিএস বৈদ্যনাথন। তিনি যুক্তি দেন, ‘‘রাস্তার উপরেও নমাজ পড়েন মুসলিমরা। তাই বলে ওই রাস্তার মালিকানা দাবি করা যায় না।’’

১৫২৮-’২৯ সালের মধ্যে মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশে অযোধ্যার ওই জায়গায় বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়। হিন্দু মন্দির ভেঙে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল বলে বহু দিন ধরেই দাবি করে আসছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। সে দাবি নিয়েই এ দিন আদালতের সামনে একটি মানচিত্র এবং বেশ কিছু ছবি তুলে ধরেন আইনজীবী বৈদ্যনাথন। সেগুলি বাবরি মসজিদের অন্দরের ছবি বলে দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন: পরমাণু অস্ত্র ‘প্রথম ব্যবহার নয়’ নীতি পাল্টাতেও পারে ভারত, বললেন রাজনাথ​

বিচারপতিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামে মূর্তি পুজোর চল নেই। তাই মসজিদে সাধারণত কোনও ছবি থাকে না। অথচ বাবরি মসজিদের অন্দরে থামের গায়ে কৃষ্ণ, শিব এবং শিশু রামের ছবি আঁকা দেখা গিয়েছে। মন্দির ভেঙে মসজিদটি তৈরি হয়ে থাকলে, তা শরিয়ৎ আইনেরও পরিপন্থী।’’

আরও পড়ুন: বাজপেয়ীর মৃত্যুদিনে তাঁরই কাশ্মীর-মন্তব্য টুইট করে মোদী সরকারকে বিঁধতে চাইলেন মমতা​

১৯৫০ সালে আদালত নিযুক্ত ফৈজাবাদ কমিশনার বাবরি মসজিদ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন। তখনই ছবিগুলি তোলা হয়েছিল বলে দাবি করেন আইনজীবী বৈদ্যনাথন। তবে সে সবের সত্যতা যাচাই হয়নি এখনও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE