প্রতীকী ছবি।
হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ নিয়ে আয়োজিত একটি কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন দুই মুসলিম ছাত্র। দুজনেই ওই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছেন।
একটি প্রকাশনী সংস্থা আয়োজন করেছিল প্রতিযোগিতাটি। যে খানে রামায়ণের কাহিনীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। অনেকেই অংশগ্রহণ করছিলেন। তবে তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকে জয়ী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। ওই পাঁচজনের মধ্যেই ছিলেন এই দুই ছাত্র।
দুই প্রতিযোগীর এক জনের নাম মহম্মদ বশিথ, আর এক জন এম মহম্মদ জবির পিকে। দুজনেই কেরলের মলপ্পুরমে থাকেন। পড়াশোনাও একই কলেজে। দুজনেই জানিয়েছেন, ছোট থেকেই তাঁরা রামায়ণ, মহাভারতের কথা শুনেছেন। পরে পড়েছেন। ভাল লেগেছে। তবে ইদানিং তাঁরা সেই পাঠ আরও বিশদে নিচ্ছেন। কেন না তাঁদের কলেজের পড়াশোনার বিষয় ও এটিই।
রামায়ণের অযোধ্যা কাণ্ডের শ্লোক ঠোঁটস্থ বশিথের। লক্ষ্মণ যখন পরিবারের উপর রেগে গিয়েছেন, আর রাম তাঁকে বোঝাচ্ছেন, ক্ষমতা এবং রাজত্ব এইসব সম্পূর্ন মূল্যহীন, সেই অংশটি সবচেয়ে পছন্দ তাঁর।
জাবির আবার বলেছেন রাম অত্যন্ত নীতিবোধসম্পন্ন মানুষ। যা শেখার মত। তাঁর রামকে দারুন লাগে। তবে দুজনেই মনে করেন ভারতের বাসিন্দা হিসেবে রামায়ণ - মহাভারত জানা জরুরি। কেন না এ থেকে ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।
দুই মুসলিম ছাত্রের রামায়ণের কুইজ জেতার এই খবর অবশ্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সে প্রসঙ্গে তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হলে দুজনেই বলেন, "অন্য ধর্মের ধর্ম গ্রন্থ পড়ার ব্যাপারেও আমরা সমান উৎসাহী। কারণ প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থই মানুষকে ভালোবাসার কথা বলে, উদারতার কথা বলে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy