কোভিড রোগী ভরত পাঞ্চাল। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
বাড়ি ফিরে আসতে পারবেন, ভাবেননি। পরিবারও আশা ছেড়েই দিয়েছিল। সেই ভরত পাঞ্চাল হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন শেষ পর্যন্ত। ৮৫ দিন পর। কী হয়নি তাঁর গত তিন মাসে! কোভিড সংক্রমণের পরেই শুরু হয় ফুসফুসে জটিলতা। যেতে হয় ভেন্টিলেশনে। তার পর কিডনি ও যকৃত বিকল হয়। হয় সেপসিস। ধীরে ধীরে শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়তে শুরু করে। আক্রান্ত হন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে। শুরু হয় ফুসফুস থেকে রক্তক্ষরণও।
তবু মনে রাখার মতো লড়াই চালিয়ে ৮৫ দিন পর মুম্বইয়ের হিরানন্দানি হাসপাতাল থেকে সোমবার বাড়ি ফিরতে পেরেছেন ৫৪ বছর বয়সি ভরত। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছে তাঁর পরিবার।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা ভরতের প্রথম জ্বর আসে এপ্রিলের ৮ তারিখে। তার ঠিক দু’সপ্তাহ আগে নিয়েছিলেন কোভিড টিকার প্রথম ডোজ। জ্বর আসার চার দিনের মধ্যেই নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয় তাঁর ফুসফুসে। যার জেরে এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে নিয়ে যেতে হয় মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন সাপোর্টে।
আরও পড়ুন
রাজ্যে নতুন আক্রান্ত এক ধাক্কায় ন’শোর নীচে, মৃত্যু ১৮, সক্রিয় রোগী ১৮ হাজারের কম
আরও পড়ুন
মহারাষ্ট্রে মহারাজনীতি, শিবসেনার চালে কি আপাতত ‘নিরাপদ’ উদ্ধব সরকার
আর তার পরই হাসপাতালে শুরু হয় তাঁর নানা রকমের শারীরিক জটিলতা। তাঁর শারীরিক অবস্থা যতই বেহাল হতে থাকে, ততই বিকল হতে থাকে তাঁর কিডনি। যকৃত। হয় সেপসিস। তার পর নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের জটিলতা। আক্রান্ত হন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসেও।
হাসপাতালে ভরতকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রাখতে হয় টানা ৭০ দিন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত দেড় বছরে কোনও কোভিড রোগীকে এত দিন হাসপাতালে থাকতে তাঁরা দেখেননি। রেমডেসিভির থেকে শুরু করে প্লাজমা থেরাপি, হাসপাতালে তাঁর কোনও চিকিৎসাই বাকি রাখেননি চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে থাকার শেষ পর্যায়ে তাঁর ফুসফুস থেকে শুরু হয় রক্তক্ষরণও। সেই সময় পরিবারের সদস্যরা তাঁর বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন।
তবু ভরত বাড়ি ফিরলেন ৮৫ দিন পর। একের পর এক লড়াই চালিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy