ঠিক যেন সঞ্জয় দত্তের ‘বাস্তব’ ছবির গল্প। বিপথে যাওয়া পুত্রকে ‘মুক্তি’ দিতে খুন করলেন খোদ মা! বাস্তবে ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলায়। অভিযোগ, নিকট এক আত্মীয়কে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন পুত্র। যা নিয়ে পরিবারে তুমুল অশান্তি। তিতিবিরক্ত হয়ে পুত্রকে খুন করলেন মা। তার পর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এলেন!
ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশে প্রকাশম জেলায়। ওই জেলার বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের শ্যাম প্রসাদকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর মা লক্ষ্মী দেবীকে। তিনি একা নন, খুন এবং খুনের প্রমাণ লোপাটে সাহায্যের অভিযোগে কয়েক জন আত্মীয়কেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতেই খুন হন শ্যাম। তার পর ঘরের মধ্যেই কোনও এক ধারালো অস্ত্র দিয়ে পাঁচ টুকরো করা হয়। পরে ব্যাগে ভরে জঙ্গলে ফেলে আসেন অভিযুক্তেরা। শুক্রবার স্থানীয়দের নজরে আসে দেহাংশগুলি। পুলিশ তদন্তে নেমে দেহটি শনাক্ত করে। তদন্তের সূত্র ধরেই মৃতের মা এবং আত্মীয়দের গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার প্রকাশম জেলা পুলিশ সুপার এআর দামোদর জানান, জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করেছেন লক্ষ্মী দেবী। কেন খুন করলেন, তা-ও পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। পুত্রের বিকৃত এবং অশোভন আচরণ সহ্য করতে না পেরেই খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিযুক্ত মহিলা।
আরও পড়ুন:
তদন্তে জানা গিয়েছে, শ্যাম অবিবাহিত ছিলেন। থাকতেন মায়ের সঙ্গেই। কিন্তু আত্মীয়দের সঙ্গে প্রায়ই নানা কারণে অশান্তি করতেন। অভিযোগ, দিন কয়েক আগেই হায়দরাবাদে এক আত্মীয়কে ধর্ষণের চেষ্টাও করেছিলেন শ্যাম, যা নিয়ে পরিবারের মধ্যে খুব অশান্তি হয়েছিল। তার পরই শ্যামকে খুনের পরিকল্পনা করেন তাঁর মা, প্রাথমিক তদন্তে এমনই দাবি পুলিশের। খুনের নেপথ্যে অন্য আর কোনও কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কোন অস্ত্র দিয়ে দেহ কাটা হয়েছে, তারও খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।