কাঁওয়ার যাত্রা নিয়ে আবার বিতর্ক। — ফাইল চিত্র।
রাস্তা দিয়ে কাঁওয়ারযাত্রীরা যাবেন বলে স্থানীয় দু’টি মসজিদ ঢেকে দেওয়া হয় সাদা কাপড়ে। একটি মাজারেও একই জিনিস করা হয়। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের এই ঘটনায় রাজ্যের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সতর্কতা’র কারণেই কাঁওয়ার যাত্রার সময় ওই মজসিদ-মাজার সাদা কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। তবে এ নিয়ে আপত্তি জানান খোদ মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সমালোচনার মুখে পড়ে ওই সাদা কাপড় পরে সরিয়েও নেওয়া হয়।
শুক্রবার হরিদ্বারের জ্বালাপুর এলাকায় দু’টি মসজিদ এবং একটি মাজারের সামনে বাঁশের কাঠামো তৈরি করে তাতে সাদা কাপড় টাঙিয়ে দেওয়া হয়। মসজিদের মৌলানা এবং মাজারের কেয়ারটেকার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, ধর্মস্থান ঢেকে ফেলার জন্য তাঁদের কাছে কোনও প্রশাসনিক নির্দেশ আসেনি। কেয়ারটেকার শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন, মাজার ঢেকে দেওয়ার বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোনও পরামর্শ করা হয়নি। মাঝেমধ্যে কাঁওয়ারযাত্রীরা এ সব ধর্মস্থানে বসে বিশ্রামও নেন।
এ বিষয়ে হরিদ্বারের জেলাশাসক বা পুলিশের কোনও আধিকারিক কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রাজ্যের মন্ত্রী সৎপাল মহারাজ জানিয়েছেন, শান্তি বজায় রাখার জন্যই মসজিদ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘সম্ভাব্য সমস্যা এড়াতেই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল।’’ তিনি এ প্রসঙ্গে নির্মীয়মাণ বাড়ি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়ার উল্লেখ করেন। পরে কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে শুক্রবার রাতে মসজিদ এবং মাজারের সামনে থেকে ওই সাদা কাপড়ের আবরণ সরিয়ে দেওয়া হয়। হরিদ্বারে কাঁওয়ার যাত্রার দায়িত্বে থাকা পুলিশের তরফে আধিকারিক দানিশ আলি জানিয়েছেন, রেলপুলিশের নির্দেশে তাঁরা ওই আবরণ সরিয়ে দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নঈম কুরেশি জানিয়েছেন, হরিদ্বারে মুসলিমরা বরাবর কাঁওয়ারযাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছেন। এই সময় হরিদ্বারে মুসলিম এবং হিন্দুদের মধ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় থাকে। এই প্রথম মুসলিমদের ধর্মস্থান এ ভাবে ঢেকে দেওয়া হল। উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সূর্যকান্ত ধাসমন এই ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছেন, এ ভাবে আসলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ‘অবমাননা’ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট এর আগে জানিয়েছিল, কাঁওয়ার যাত্রার পথে কেউ যদি স্বেচ্ছায় নিজের দোকানের বাইরে নাম-পরিচয় লিখতে চান, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু কাউকে জোরপূর্বক সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য করা যাবে না। কাঁওয়ার যাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। দুই রাজ্যের সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কাঁওয়ার যাত্রাপথে রাস্তার দু’ধারে যে সব খাবারের দোকান রয়েছে, সেই সব দোকানের বাইরে টাঙানো সাইনবোর্ডে দোকান মালিকের নাম-পরিচয় স্পষ্ট করে লিখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy