Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Love Jihad

নারী সুরক্ষা কেন্দ্রে গর্ভপাত! যোগী রাজ্যে অভিযোগ ‘লভ জেহাদ’-এ ধৃত মহিলার

সংবাদ মাধ্যমের কাছে মহিলা দাবি করেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে দেখেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি নারী সুরক্ষা কেন্দ্র।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১১:০৭
Share: Save:

‘লভ জেহাদ’-এর অভিযোগে তাঁর স্বামী এবং দেওরকে কয়েক দিন আগেই গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁকে পাঠানো হয় নারী সুরক্ষা কেন্দ্রে। এ বার সেই মহিলাই অভিযোগ তুললেন ওই কেন্দ্রে তাঁকে অত্যাচার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জোর করে তাঁর গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও মোরাদাবাদের শিশু সুরক্ষা কমিশন বিষয়টিকে সম্পূর্ণ ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান বিশেষ গুপ্ত সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। মহিলার গর্ভপাত করানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

দিন কয়েক আগে রশিদ নামে এক মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করেন মোরাদাবাদের ওই মহিলা। ‘লভ জেহাদ’-এর অভিযোগ দায়ের হয় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহিলাকে প্রথমে নারী সুরক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরে সরকারি হোমে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।

সংবাদ মাধ্যমের কাছে মহিলা দাবি করেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে দেখেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি নারী সুরক্ষা কেন্দ্র। পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই তাঁর গর্ভপাত হয়ে যায় বলে অভিযোগ মহিলার।

এ ক্ষেত্রে কি প্রশাসন, পুলিশের ষড়যন্ত্র রয়েছে? মহিলার দাবি, “এর জন্য চিকিৎসকরা দায়ী। তবে বাকিদের কথা বলতে পারব না।”

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মহিলার অভিযোগকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। জেলা হাসপাতালের সুপার পাল্টা দাবি করেন, “তাঁকে রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়। কিন্তু ভ্রূণের কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। মেরঠে তাঁকে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর পরিজনেরা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।”

অন্য বিষয়গুলি:

Love Jihad Moradabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE