মোহন ভাগবত। —ফাইল চিত্র।
সংঘাত নয়, বরং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রূপায়ণ হবে বলে মনে করেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। তাঁর আশা সংসদীয় ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে ওই আইন রূপায়ণ হলে পারস্পরিক সংঘাত ও ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হবে। তবে ২০২৪ সালের লোকসভার আগে ওই আইন রূপায়িত হবে কি না, সেই বিতর্কে ঢুকতে চাননি ভাগবত।
আগামী বছরের এপ্রিল–মে মাসে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। রামমন্দির, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের মতোই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করাও বিজেপির ইস্তাহারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল। সেই লক্ষ্যপূরণে সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের মত চেয়েছে কেন্দ্রীয় আইন কমিশন। প্রসঙ্গত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে সব ধর্মের মানুষ একই রকম পারিবারিক বিবাহ এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইন মানতে বাধ্য হবে। কার্যত অস্তিত্ব হারাবে মুসলিম ল’বোর্ড। তা বুঝেই এখন থেকে প্রতিবাদ শুরু করেছে মুসলিম সংগঠনগুলি।
যদিও ভাগবত মনে করেন, বিষয়টির সুষ্ঠু মীমাংসা হয়ে যাবে। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রূপায়ণ নিয়ে তিন লক্ষ লোকের উপরে সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষার উল্লেখ করে গতকাল ভাগবত বলেন, ‘‘সমীক্ষায় অধিকাংশ মানুষ ২২টি বিষয়ে রাজি হয়েছেন। কেবল আট-ন’টি বিষয় নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। আশা করছি তাও মিটে যাবে।’’
মোদী সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধির রূপায়ণের উদ্যোগ নিতেই মুসলিম সমাজের একাংশ আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে। সংখ্যালঘু সমাজের একাংশের আপত্তি প্রসঙ্গে ভাগবত বলেন, ‘‘ভারতীয় উপমহাদেশীয় এলাকায় জিনগত ভাবে সকলে এক। আমাদের সমাজিক অবস্থানে মুসলিমরাও অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।’’ তাঁর দাবি, বিষয়টি নিয়ে আগামী দিনে সবার মধ্যে সমম্বয় ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ওই আইন সমাজে রূপায়িত হবে। তবে তা আগামী লোকসভার আগে হবে নাকি পরে, সেই বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন ভাগবত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy