ভারতীয় সেনার আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ায় আরও জোরদার হল ‘আত্মনির্ভরতা’র স্লোগান। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নাগ ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য ‘ট্র্যাক্ড’ যান কেনার বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘আর্মার্ড ভেহিকল্স নিগম লিমিটেড’ (এভিএনএল)-এর সঙ্গে চুক্তি করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
এর পাশাপাশি, সেনার জন্য দুর্গম স্থানে চলাচলের উপযোগী ৫০০০টি ছোট যান কেনার জন্য ফোর্স মোটরস এবং মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার সঙ্গে আড়াই হাজার কোটি টাকার পৃথক চুক্তি হয়েছে বলে নর্থ ব্লক সূত্রের খবর। দিন বা রাতে শত্রুপক্ষের চলন্ত ট্যাঙ্কে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম নাগ। মাটি এবং আকাশ, দু’জায়গা থেকেই ছোড়া যায় এই ক্ষেপণাস্ত্র।
মাটি থেকে ছুড়লে ৫০০ মিটার থেকে চার কিলোমিটার দূরত্বে থাকা ট্যাঙ্ককে নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে এটি। আবার আকাশ থেকে ছুড়লে সাত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ২০১৮ সালের শেষপর্বে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন ‘প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় বিষয়ক কমিটি’র (ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি) সেনাবাহিনীতে নাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির (নামিস)অন্তর্ভুক্তিতে সায় দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আশির দশকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন বা ডিআরডিও) ‘ইন্টেগ্রেটেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর আওতায় যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল, নাগ তার মধ্যে অন্যতম। এই প্রকল্পের আওতায় বাকি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হল অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ এবং ত্রিশূল। যার মধ্যে অগ্নি, পৃথ্বী এবং আকাশ ইতিমধ্যেই সেনার হাতে পৌঁছেছে। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্রের নির্মাণ।