রবিবার দুুপুরে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা। প্রতীকী ছবি।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল মোকা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। ঘণ্টায় ১১ কিমি বেগে উত্তর দিকে এগোচ্ছে মোকা। আগামী ১২ ঘণ্টায় উত্তর দিকে আরও অগ্রসর হবে ঝড়। শুক্রবার সকালে আরও শক্তি সঞ্চয় করে মধ্য বঙ্গোপসাগরে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে মোকা।
বৃহস্পতিবার রাতে মৌসম ভবন জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোতে পারে। ১৪ মে, রবিবার দুপুরে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কায়াকপুরের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে মোকা। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে ওই অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ঝড় অতিক্রম করতে পারে। ওই সময় মোকার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পোর্টব্লেয়ার থেকে মোকার দূরত্ব প্রায় ৫২০ কিমি। বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে মোকার দূরত্ব ১১০০ কিমি। মায়ানমার থেকে ১০২০ কিমি দূরে রয়েছে ঝড়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। শুক্র, শনি এবং রবিবার সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ত্রিপুরা এবং মিজোরামেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনি এবং রবিবার সেখানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার নাগাল্যান্ড, মণিপুর, দক্ষিণ অসমে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর আন্দামান সাগরে ১৪ মে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ঝড়ের গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজর রেখেছে মৌসম ভবন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ঝড়ের হাত থেকেও রেহাই পাচ্ছে বাংলা। এই মুহূর্তে অস্বস্তিকর গরমে কাহিল দক্ষিণবঙ্গ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। তবে তা মোকার প্রভাবে হবে না বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy