প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র। ছবি: পিটিআই।
উত্তপ্ত পরিস্থিতির আবহে মণিপুরের সাত জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করল সে রাজ্যের সরকার। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে গত ১৬ নভেম্বর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে ওই জেলাগুলিতে। শনিবার মণিপুর সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, বিষ্ণুপুর, থৌবল, চূড়াচাঁদপুর এবং কাংপোকপি জেলায় আগামী সোমবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা।
গত ১৯ নভেন্বর থেকে মণিপুরের পাঁচ জেলায় কার্ফু আংশিক শিথিল হয়েছে। চালু করা হয়েছে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা আপাতত বন্ধই রয়েছে। সেই আবহে এ বার স্বরাষ্ট্র দফতর জানাল, রাজ্যে ক্রমবর্ধমান অশান্তির আবহে সাত জেলায় আরও দু’দিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।
ইম্ফল এবং সংলগ্ন অঞ্চল এখনও অশান্ত। তবে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, কাকচিং এবং থৌবালে কার্ফু আংশিক শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার থেকেই এই পাঁচ জেলায় ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করা হয়েছে।
সম্প্রতি মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। পরে দুই দফায় ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। তবে অনেকেরই অভিযোগ, অপহৃত ছ’জনের দেহ নদীতে ভেসে এসেছে। দেহ উদ্ধারের পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। বিচার চেয়ে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ইম্ফলের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মণিপুরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ এবং আধাসেনার যৌথ বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy