দিল্লি সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ চলবে, জানালেন কৃষকনেতা। — ফাইল চিত্র।
কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকলেও দিল্লি সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ চলবে যত ক্ষণ না দাবিপূরণ হচ্ছে। লোকসভা ভোট ঘোষণা হওয়ার পর আচরণবিধি চালু হলেও এই বিক্ষোভ চলবে। জানিয়ে দিলেন কৃষক নেতা সরওয়ানসিংহ পন্ধের। ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা হতেই দিল্লি থেকে হরিয়ানা যাওয়ার সিঙ্ঘু এবং টিকরি সীমানা আংশিক ভাবে খুলে দিল প্রশাসন। হরিয়ানার সাত জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও চালু করা হল।
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-র দাবিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষকেরা। কৃষি ঋণ মকুবের দাবিও রয়েছে তাঁদের। রবিবার এই অবস্থান বিক্ষোভ ১৩তম দিনে পা দিল। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল দিল্লিতে প্রবেশের সিংঘু এবং টিকরি সীমানা। সেখানে বড় বড় বোল্ডার, বালির বস্তা, পেরেক পুঁতে রাখা হয়। রবিবার সেই দুই সীমানা খুলে দেওয়া হল। সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতেই ক্রেন দিয়ে সরানো হল ভারী বোল্ডার।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে সীমানা আবার বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এর ফলে স্বস্তিতে নিত্যযাত্রী থেকে পর্যটকেরা। কারণ এই দুই সীমানা দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করেন প্রতিদিন বহু মানুষ। এত দিন সীমানা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন তাঁরা। অন্য এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে হরিয়ানা যাতায়াতের দুই সীমানা খুলে দেওয়া হলেও উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমান্ত বন্ধ থাকবে। গত রবিবার হরিয়ানার সাত জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়েছিল। তা-ও চালু করা হল।
যদিও অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলেই জানিয়েছেন কৃষকনেতা পন্ধের। তিনি রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘কৃষকদের সঙ্গে যা হচ্ছে’, সেই বিষয়ে কথা বলার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি বৈঠকে বসে স্থির করা হবে। শনিবার নিজেদের দাবিতে দিল্লি এবং হরিয়ানা সীমান্তে মোমবাতি মিছিল করেন কৃষকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy