— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত বছর থেকেই দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তাল মণিপুর। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ সময়। এ বার প্রথমবারের জন্য শান্তি আলোচনায় বসতে চলেছেন মণিপুরের মেইতেই, কুকি এবং নাগা বিধায়কেরা। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উদ্যোগে নয়াদিল্লিতে এই যৌথ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বৈঠকে যোগ দেবেন তিন নাগা বিধায়ক। তাঁরা হলেন আওয়াংবাউ নিউমাই, এল ডিখো এবং রাম মুইভা। তাঁরা এনডিএ-র শরিক নাগা পিপল্স ফ্রন্টের (এনপিএফ) সদস্য। তবে মেইতেই এবং কুকি বিধায়কদের মধ্যে কত জন বৈঠকে হাজির থাকবেন, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। জনৈক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এই আলোচনার উদ্দেশ্য মণিপুরে হিংসা রুখে স্থায়ী সমাধান খোঁজা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই অশান্ত মণিপুর। এ পর্যন্ত সেখানে ২০০রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরে আরও ছ’মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পা)-এর মেয়াদ।
গত মাসে কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পর গত ৬ সেপ্টেম্বর বিষ্ণুপুর জেলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেরেম্বাম কোইরেংয়ের বাড়িতে রকেট হামলা হয়। তার পর থেকে দফায় দফায় হামলা চলেছে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ ও সেনার যৌথ অভিযানে সাড়ে ২৮ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয় পূর্ব ইম্ফল জেলায়। তার মাঝেই মণিপুর সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহ দাবি করেন, জঙ্গলযুদ্ধ এবং ড্রোন হামলায় প্রশিক্ষিত ৯০০ কুকি জঙ্গি মায়ানমার থেকে মণিপুরে প্রবেশ করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। মণিপুরের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy