মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় মিঠুন চক্রবর্তী।
রাজ্যের শাসক দলের সবাই ‘চোর’ নন। কিছু নেতা ভাল আছেন। আর সেই অংশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পদ্ম শিবির। মঙ্গলবার এমন দাবিই করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মঙ্গলবার চুঁচুড়া স্টেশন সংলগ্ন বিদ্যাভবনে প্রাক্-পুজো সম্মেলনে দলীয় কর্মীদের বৈঠকে যোগ দিতে আসেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
মিঠুনের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কদের যোগাযোগ রয়েছে বলেও এর আগে দাবি করেছিলেন মিঠুন। তবে তাঁর দাবি নিয়ে বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব নীরব থেকেছে। শুভেন্দু অধিকারীরা জানান, মিঠুনের মন্তব্যের ব্যাখ্যা মিঠুন নিজেই দেবেন। তবে মঙ্গলবার বিজেপির তারকা নেতা দাবি করলেন, দল যখন চাইবে, তিনি নাম ধরে ধরে বলে দেবেন কাদের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হয়। মঙ্গলবার মিঠুন বলেন, ‘‘আসলে ২১ জন নয়, আমি ৩৮ জনের (পড়ুন তৃণমূল বিধায়ক) কথা বলেছি। এ ছাড়াও আরও তৃণমূল বিধায়ক আছেন, যাঁরা সরাসরি দিল্লির (বিজেপির) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তৃণমূলের সবাই চোর নন। যাঁরা ভাল তাঁদেরই একটা অংশ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’’
মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের ভাঙন এবং পরে বিজেপির ক্ষমতালাভ, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেন সরকারের মধ্যে টানাপড়েন নিয়ে বিজেপিকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ এনেছে। তবে বাংলার শাসক দলের বিধায়কদের সঙ্গে এমন কোনও ‘লেনদেন’-এর কথা হয়নি বলে দাবি মিঠুনের। তিনি বলেন, ‘‘আমি যে ২১ জনের কথা বলেছি, তাঁদের কারও সঙ্গে কোনও টাকার কথা হয়নি। তৃণমূলের সবাই চোর নন। কিন্তু অনেকেরই দম বন্ধ হয়ে আছে।’’ তার পর সিনেমায় সংলাপ বলার ঢঙে মিঠুনের মন্তব্য, ‘‘না খায়া, না পিয়া, গ্লাস তোড়া চার আনা! এ জন্য অনেকের (তৃণমূল নেতার) দম বন্ধ হয়ে আছে।’’
মিঠুনের এ-ও দাবি, নতুন করে তৃণমূল নেতাদের গেরুয়া শিবিরে টানতে আপত্তি রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তবে তিনি বুঝিয়েছেন। মিঠুন বলেন, ‘‘দল বলে দিয়েছিল তৃণমূল থেকে কাউকে নেব না। ন্যাড়া এক বারই বেলতলায় যায়। কিন্তু আমি তাঁদের বুঝিয়েছি। তবে পচা আলু আমরা নেব না। কেউ চুরি করলে সেটা অন্যের উপর গিয়ে দোষ পড়ছে। কিন্তু আমি তাঁদের বিশ্বাস করাতে পেরেছি যে, যাদের নাম আমি নিচ্ছি, তাঁরা এ সবের মধ্যে নেই।’’
তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল বিধায়ক এবং নেতাদের কোনও তালিকা কি নেতৃত্বকে দিয়েছেন? মিঠুনের জবাব, ‘‘এত স্পষ্ট করে বলব না। আমি প্রোটোকল মেনে কথা বলি। শীর্ষ নেতৃত্বকে আমি জানিয়েছি। তাঁদের নির্দেশ আমি এখানে এসে এই কথা বলছি।’’ সেই সুর ধরে মিঠুনের পাশে বসা সুকান্ত বলেন, ‘‘মিঠুনদার কাছে যদি ২১ জনের নাম থাকে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ৪১ জনের কম নাম থাকবে না।’’
মিঠুনের এই দাবি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘মিঠুন নিজেই নানা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। অনেকগুলোর কথা আমরাই জানি না। উনি এ সব থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন। আমি ওঁকে জোয়ানের হজমি গুলি পাঠিয়ে দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy