লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবামূর্তি শারানারু। ফাইল চিত্র।
ধর্ষণের অভিযোগে কর্নাটকের জেলবন্দি লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবামূর্তি শারানারুর বিরুদ্ধে এ বার সাক্ষ্য দিলেন নাবালিকারা। অভিযোগ, ১৫-১৬ বছরের এই নাবালিকারাও ওই ধর্মগুরুর বিকৃত যৌন লালসার শিকার। সোমবার আদালতে বিচারকের সামনে তারা তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরল।
এক নাবালিকা জানায়, শিবামূর্তি আইসক্রিম এবং চকোলেটের লোভ দেখিয়ে তাদের ডেকে আনতেন। তার পর তারা নিজেদের বিবস্ত্র অবস্থায় আবিষ্কার করত। নাবালিকাদের দাবি, তাদের খাবারে মাদক মিশিয়ে ধর্ষণ করতেন ওই ধর্মগুরু।
এক নাবালিকার কথায়, “উনি জোর করে আমার জামাকাপড় খুলে নিতেন। প্রতিদিন আমার উপর নির্মম অত্যাচার করতেন। আমি তাঁকে হাতজোড় করে বলি, আমায় ছেড়ে দিন, আমি খুব গরিব পরিবারের মেয়ে। কথা না শুনলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে তিনি হুমকি দেন।”
নাবালিকাদের ধর্ষণ করার অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর কর্নাটকের চিত্রদুর্গের মুরুগা মঠের প্রধান শিবামূর্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মঠটির পাশেই প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের একটি বিদ্যালয় আছে। মঠটির তরফেই ওই বিদ্যালয়টিকে অর্থসাহায্য করা হয়। লিঙ্গায়েত গোষ্ঠীর ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই বিদ্যালয়ের নাবালিকা পড়ুয়াদের ডেকে এনে ধর্ষণ করতেন তিনি। যারা ধর্মগুরুর কাছে যেতে রাজি হত না, তাদের মারধর করা হত বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপান-উতোরও থেমে থাকেনি। কর্নাটকে প্রায় ১৭ শতাংশ লিঙ্গায়েতের বাস। সে রাজ্যের ভোট রাজনীতিতে লিঙ্গায়েতদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। সচরাচর লিঙ্গায়েত ভোট বিজেপির পক্ষে যায়। তাই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, লিঙ্গায়েত নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা ধর্মগুরুর এই গ্রেফতারি নিয়ে প্রথমে অভিযোগ করেছিলেন যে, এর পিছনে বড় চক্রান্ত আছে। পরে অবশ্য তিনি তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেন। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, আর এক লিঙ্গায়েত নেতা বাসবরাজ বোম্মাই অবশ্য জানিয়েছেন, আইন আইনের পথে চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy