—প্রতীকী চিত্র।
‘ঘরে বসে আয় করুন’। পত্রপত্রিকা এবং রাস্তায় বাড়ির দেওয়াল এবং পাঁচিলে এমন সব বিজ্ঞাপন প্রায়শই চোখে পড়ে সবার। ইন্টারনেটের দৌলতে এখন বিভিন্ন সমাজমাধ্যমেও এমন বিজ্ঞাপনের বহর বেড়েছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে আর্থিক প্রতারণার সংখ্যা। ঘরে বসে উপার্জন করতে গিয়ে নিজের সঞ্চয়ের সবটুকু খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সংখ্যাও কম নয়। ‘পার্ট টাইম জব’ বা আংশিক সময়ের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত এমন একশোর বেশি ওয়েবসাইট ‘ব্লক’ করল কেন্দ্র। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রক। পাশাপাশি, এমন বিজ্ঞাপনী প্রচারে ভুলে যাতে সর্বস্ব খোয়াতে না হয়, তার জন্য আমজনতাকে সাবধানও করল অমিত শাহের মন্ত্রক।
বুধবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, নানা রকম আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত এমন প্রচুর ওয়েবসাইট তারা শনাক্ত করেছে। নানা সমাজমাধ্যম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি অ্যাপের মাধ্যমে নানা প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত সমস্ত ওয়েবসাইটের খোঁজ শুরু করেছে তারা। ইতিমধ্যে এমন একশোর বেশি ওয়েবসাইটকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি বিবৃত্তিতে কেন্দ্র এ-ও বলছে, এমন অনলাইনভিত্তিক আর্থিক প্রতারণার কতগুলি বড়সড় চক্র আছে। এরা এ দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি, এটিএমের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরিচালনায় আমাদের মন্ত্রক সাইবার প্রতারণা, সাইবার অপরাধ থেকে সাধারণ নাগরিকদের রক্ষা করতে সর্বদা সচেষ্ট।’’
‘ঘরে বসে উপার্জন’ বিজ্ঞাপনে সাড়া দেওয়ার আগে ভাল করে যাচাই করতে বলছে কেন্দ্র। শাহের মন্ত্রক জানাচ্ছে, গুগল, মেটা ইত্যাদিতে ওই সব বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যোগাযোগ করলে প্রথমে প্রতারকদের কোনও এক জন পুরো ব্যাপারটা দেখেন। প্রথমে তিনি ফোন বা মেসেজের মাধ্যমে কথাবার্তা বলে আস্থা অর্জন করেন। তার পর বলে দেন, ঘরে বসে কী ভাবে সহজ সব কাজ করে মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কাউকে বলা হয়, নির্দিষ্ট কোনও ভিডিয়ো বা ছবিতে ‘লাইক’ দিতে হবে। কোনও অ্যাপের রেটিং লিখতে হবে। সে সম্পর্কে কিচ্ছুটি না জেনে ভূয়সী প্রশংসা করে কয়েক লাইন লিখে দিতে হয়। এতে ওই অ্যাপের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। আর ‘ঘরে বসে’ যিনি আয় করছেন, তিনি প্রথম দিকে মোটামুটি রোজগারও করেন। কিন্তু তার পরেই শুরু হয় সমস্যা। এ বার কোনও একটা অছিলায় মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। কিংবা,ব্যাঙ্কের তথ্য নিয়ে চকিতে ফাঁকা করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট। কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ, এমন সব কাজে প্রতারকেরা মূলত গৃহবধূ, বেকার যুবক এবং স্মার্টফোন সদ্য হাতে তুলে নেওয়া বয়স্ক ব্যক্তিদের টার্গেট করে। তাই ওই রকম কাজ করার আগে ভাল করে খোঁজ নিতে পরামর্শ দিয়েছে সরকার। বলা হচ্ছে, অনলাইনে অচেনা কাউকে টাকা পাঠাতে হলেও ভাল করে তাঁর সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। কারণ, বাড়িতে বসে কাজ বা এমন কোনও বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে অজান্তে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়াও অবাক করার মতো কোনও বিষয় হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy