(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং জাস্টিন ট্রুডো (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকেই আবার চর্চায় উঠে এসেছে লরেন্স বিশ্নোইয়ের গ্যাং। এই বিশ্নোই গ্যাংয়ের একাধিক সদস্য বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন। তাঁদের ভারতে নিয়ে আসার জন্য কানাডা সরকারের কাছে একাধিক বার অনুমতি চেয়েছিল ভারত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কানা়ডা থেকে কোনও জবাব মেলেনি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, কয়েক বছর আগেই বিশ্নোই গ্যাংয়ের সদস্যদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল কানাডাকে। সম্প্রতি আরও এক বার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও জবাব মেলেনি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে গুরজিৎ সিংহ, গুরজিন্দর সিংহ, অর্শদীপ সিংহ গিল, লখবীর সিংহ লান্ডা এবং গুরপ্রীত সিংহকে ভারতে হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, এই তালিকায় বিশ্নোই গ্যাংয়ের সদস্যেরাও রয়েছেন।
সাংবাদিক বৈঠকে রণধীর বলেন, “আমরা বিশ্নোই গ্যাংয়ের বিষয়ে কানা়ডাকে জানিয়েছিলাম। তাঁদের প্রাথমিক ভাবে গ্রেফতার করে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কয়েক বছর আগেও অনুরোধ করা হয়েছিল, সম্প্রতি আবারও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব আসেনি।”
ঘটনাচক্রে যে সময়ে বিদেশ মন্ত্রক এই বিবৃতি দিল, তখন কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে দৃশ্যত তিক্ততা এসেছে। কানাডা সরকার অভিযোগ করেছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ভারত। কিন্তু বুধবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। আছে কেবল গোয়েন্দা-তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত কিছু ধারণা। আর সেই সব সম্ভাবনার কথাই নয়াদিল্লিকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রুডো। তবে বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, নিজ্জর খুন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও প্রমাণ বা নথি ভারতকে দেয়নি কানাডা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy