ফাইল চিত্র।
গত কাল রাত থেকে প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভি পি মালিক, নর্দান কমান্ডের প্রাক্তন কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কমলজিৎ সিংহ-সহ সেনা অফিসাররা প্রকাশ্যে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন, তাঁদের মতো অনেকেই এপ্রিলের পেনশন এখনও পাননি। চাপের মুখে আজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, বুধবারই সকলের পেনশন দিয়ে দেওয়া হবে। পেনশন বিলি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করতে গিয়েই সমস্যা দেখা দেয়। তবে এক বারের জন্য ছাড় দিয়ে সকলকেই দেরি না করে পেনশন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সূত্রে অবশ্য মেনে নেওয়া হয়েছে, ৫০ হাজারের বেশি অবসরপ্রাপ্ত সেনার পেনশন আটকে ছিল।
গত কাল রাতে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্তারা ক্ষোভ প্রকাশের পরে আজ সকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করেন। রাহুলের টুইট, ‘এক পদ, এক পেনশন’ নিয়ে প্রতারণার পরে, এ বার মোদী সরকার ‘সব পদ, শূন্য পেনশন’-এর নীতি নিচ্ছে। সেনার অপমান, দেশের অপমান’। দ্রুত পেনশন দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, ‘স্পর্শ’ নামক ডিজিটাল পেনশন বিলি ব্যবস্থায় প্রতি বছর অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের জীবিত থাকার প্রমাণ দেখে চিহ্নিতকরণ করা হয়। নভেম্বরে ব্যাঙ্কগুলি এই কাজ সেরে ফেললেও এ বার তার মেয়াদ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
দেখা যায়, ৩.৩ লক্ষ পেনশনভোগীর চিহ্নিতকরণ হয়নি। তার পরে সরকার থেকে ২.৬৫ লক্ষ জনের তালিকা পাঠানো হলে ৫৮ হাজারের বেশি অবসরপ্রাপ্ত ফৌজির চিহ্নিতকরণ আটকে ছিল। বায়ুসেনার প্রাক্তন এয়ার ভাইস-মার্শাল মনমোহন বাহাদুরের বক্তব্য, ‘‘সরকার এ বার পদক্ষেপ করেছে খুব ভাল কথা। কিন্তু এ নিয়ে কি হইচইয়ের দরকার ছিল? সমস্যাটা গুরুতর। গ্রাম বা প্রত্যন্ত এলাকার অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানদের পেনশন নিয়ে সমস্যা হলে কী হেনস্থা হয়, তা বোঝা যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy