ফাইল ছবি।
নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি নিষ্প্রদীপ হওয়ার প্রতিবাদে ইন্ডিয়া গেটের কাছে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। পর দিন হলোগ্রাম নিষ্প্রদীপ হওয়ার সাফাই এল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে। তবে সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত বয়ান সরকারি ভাবে মন্ত্রকের বক্তব্য নয়।
সংস্কৃতি মন্ত্রকের উচ্চপর্যায়ের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে দাবি, রাজনীতির প্রশ্ন নেই। প্রবল হাওয়ার কারণে কিছুক্ষণের জন্য নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তির আলো। হাওয়া কমতেই মাঝরাতে তা ফের জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক ভাবে এই নিয়ম মানা হয় বলেও সংস্কৃতি মন্ত্রকের ওই সূত্রের যুক্তি।
No question of any politics, the Netaji hologram was switched off because of extreme weather conditions as per standard international practice. It was switched on at midnight yesterday: Top sources in the Culture Ministry
— ANI (@ANI) February 4, 2022
ইন্ডিয়া গেটে বসবে নেতাজির পূর্ণাবয়ব গ্রানাইট মূর্তি। কিন্তু যত দিন না সেই মূর্তি তৈরি হচ্ছে, তত দিন হলোগ্রাম মূর্তি থাকবে সেখানে। গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকঢোল পিটিয়ে সেই হলোগ্রাম মূর্তিরই উদ্বোধন হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে। সূত্রের খবর, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সেই হলোগ্রামের প্রোজেক্টর যন্ত্রটি বিগড়ে যায়। ফলে রাজধানীতে নিষ্প্রদীপ হয়ে পড়ে নেতাজি মূর্তি। একটি সূত্রের দাবি, প্রবল হাওয়ার কারণেই প্রোজেক্টরটি বিগড়ে যায়। যদিও সরকারি স্তরে এই মত যাচাই করা যায়নি।
ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি মূর্তি নিষ্প্রদীপ হয়ে গিয়েছে, এই খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান তৃণমূল সাংসদরা। গিয়ে দেখেন, অন্ধকার। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেই ধর্নায় বসে পড়েন সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, জহর সরকার, মৌসম বেনজির নূরেরা। হাতের প্ল্যাকার্ড তুলে ধরে তাঁরা সমস্বরে আবেদন জানান, ‘নেতাজিকে অন্ধকারে রাখবেন না’। সৌগত বলেন, ‘‘নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি যেমন হাওয়া উড়ে গিয়েছে, তেমনই নেতাজির প্রতি বিজেপি-র ভালবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা সবই উবে গিয়েছে। গ্রানাইট মূর্তি বানানোর নাম করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।’’
এর পরই শুক্রবার সকালে ব্যাখ্যা নিয়ে হাজির কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের উচ্চপর্যায়ের সূত্র উদ্ধৃত করে টুইট বার্তায় লেখা হল, ‘রাজনীতির প্রশ্নই নেই।’ কিন্তু সরকারি ভাবে এখনও সরকারের এই সংক্রান্ত কোনও বয়ান আসেনি। ফলে সরকারি অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy