শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে নকল করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কল্যাণের ওই কাণ্ডের পর যখন জাতীয় রাজনীতি সরগরম, তখন মুখ খুললেন কল্যাণ। তিনি বলেন, “নকলনবিশি করা তো শিল্পের একটা ধরন। রাজনৈতিক প্রতিবাদের অনেক রকম ভাষা থাকে। প্রধানমন্ত্রীও সংসদের মধ্যে অতীতে মিমিক্রি করেছেন। তার জন্য কি তিনিও ক্ষমা চাইবেন?” প্রসঙ্গত, সংসদে ‘মোদীর নকলনবিশি’র এই কল্যাণকথিত ভিডিয়ো এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বুধবার আরও বলেন, “নকল সংসদ অধিবেশন চলছিল (মঙ্গলবার)। আমি বলিনি যে সেটা লোকসভা না কি রাজ্যসভা। এটা যদি উনি (ধনখড়) নিজের গায়ে মেখে নেন, তা হলে আমি অসহায়। উনি কি সত্যিই রাজ্যসভায় এ রকম আচরণ করেন? এটাই আমার প্রশ্ন।’’ কল্যাণের কথায়, ‘‘কারও ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না আমার। ধনখড় সাব আমার সিনিয়র। উনি আমার পেশাতেই ছিলেন। উনি আইনজীবী ছিলেন। আমিও আইনজীবী। আমাদের পেশায় আমরা কারও ভাবাবেগে আঘাত করি না। আমি ওঁকে শ্রদ্ধা করি।’’
ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার ‘মিমিক্রি’ বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তৃণমূলের যে প্রতিনিধিদল সাক্ষাতে গিয়েছিল, তাতে ছিলেন না কল্যাণ। অথচ তৃণমূল সূত্র থেকে আগের দিন যে প্রতিনিধিদলের তালিকা পাওয়া গিয়েছিল তাতে কল্যাণের নাম ছিল। মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা যখন সাংবাদিক সম্মেলন করেন, তখন কল্যাণ প্রসঙ্গ ওঠে। প্রকাশ্যে কল্যাণের আচরণ নিয়ে কোনও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেননি তৃণমূলের দলনেত্রী। প্রথমে জবাব এড়িয়ে গেলেও পরে আবার একই প্রশ্ন ওঠার পর তিনি বলেন, ‘‘কোনও অসম্মানের বিষয় নয়। কল্যাণ যা করেছেন সেটা হালকা চালে।’’
সোমবার সংসদের দুই কক্ষেই বিরোধী সাংসদেরা গণহারে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। মঙ্গলবারও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। এর মধ্যেই নতুন সংসদ ভবনের মকরদ্বারের সামনে বিরোধী সাংসদদের অবস্থানে কার্যত ‘আসর জমিয়ে দেন’ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ। কল্যাণ যে ভঙ্গিতে কথা বলেন, শরীরী ভাষার প্রয়োগ ঘটান, তা দেখে অনেকেই দাবি করেন, তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কথা বলার ধরন, শরীরী ভাষা নকল করেছেন। কল্যাণের সেই ‘প্রতিভা’ দেখে কার্যত হেসে লুটোপুটি খেতে থাকেন বিভিন্ন দলের সাংসদেরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও পকেট থেকে মোবাইল ফোন বার করে কল্যাণের ভিডিয়ো তুলতে দেখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy