Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Terrorism

কাশ্মীরের পণ-বন্দিদের বাঁচাতে গিয়ে হত ৫ সেনা-পুলিশ

২০১৫ সালের পরে এই প্রথম উপত্যকায় নিহত হলেন কমান্ডিং অফিসার স্তরের কোনও সেনাকর্তা। 

নিহত পাঁচ: কর্নেল আশুতোষ শর্মা, মেজর অনুজ সুদ, নায়েক রাজেশ কুমার, ল্যান্স নায়েক দীনেশ  সিংহ এবং এএসআই শাকিল কাজি

নিহত পাঁচ: কর্নেল আশুতোষ শর্মা, মেজর অনুজ সুদ, নায়েক রাজেশ কুমার, ল্যান্স নায়েক দীনেশ সিংহ এবং এএসআই শাকিল কাজি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০৬:১৫
Share: Save:

জঙ্গি গতিবিধির খবর ছিল শুক্রবার থেকেই। গত কাল রাতে কাশ্মীরের হান্দোয়ারায় একটি বাড়িতে কোণঠাসা হল সেই জঙ্গিরা। কিন্তু সেই বাড়ির বাসিন্দাদের রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু হল সেনার দুই উচ্চপদস্থ অফিসার-সহ পাঁচ অফিসার-জওয়ানের। গত কাল উত্তর কাশ্মীরের হান্দোয়ারার ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আশুতোষ শর্মা, মেজর অনুজ সুদ, নায়েক রাজেশ কুমার, ল্যান্স নায়েক দীনেশ সিংহ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এএসআই শাকিল কাজ়ি। ২০১৫ সালের পরে এই প্রথম উপত্যকায় নিহত হলেন কমান্ডিং অফিসার স্তরের কোনও সেনাকর্তা।

সেনা জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই হান্দোয়ারার রাজোয়ার জঙ্গলে জঙ্গি গতিবিধির খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু জঙ্গলে কিছু ক্ষণ সংঘর্ষের পরে পালায় জঙ্গিরা। গত কাল সেনা জানতে পারে, ছাঙ্গিমুল্লায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে জঙ্গিরা।

সেনা সূত্রের খবর, জঙ্গিরা ওই বাড়ির বাসিন্দাদের পাশের গোশালায় পণবন্দি করেছে বলে বুঝতে পারে বাহিনী। প্রথম দফায় লড়াইয়ের পরে জঙ্গিরা গুলিবৃষ্টি বন্ধ করে। তারা নিহত হয়ে থাকতে পারে ধরে নিয়ে বাড়ির বাসিন্দাদের বার করে আনতে গোশালায় ঢোকার সিদ্ধান্ত নেন কর্নেল শর্মা। একটি দল নিয়ে তিনি ঢুকতেই ফের গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। বেশ কয়েক জন পণবন্দিকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন কর্নেল শর্মারা। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে বাকি বাহিনীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মোবাইলে ফোন করা হলে জঙ্গিরা জবাব দেয়।

আরও পড়ুন: দেশে করোনা-আক্রান্ত পেরোল চল্লিশ হাজার

আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ফেরানোর খরচ কেন দেবে না কেন্দ্র, প্রশ্ন রাজ্যে রাজ্যে

ডাক পড়ে কমান্ডোদের। তাঁরা বুঝতে পারেন, কর্নেল শর্মা ও তাঁর দলের সদস্যেরা প্রাণ হারিয়েছেন। ভোরে গোশালায় কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় দুই জঙ্গি। তাদের মধ্যে এক জন পাকিস্তানি লস্কর-ই-তইবা কমান্ডার হায়দর বলে দাবি সেনার।

কয়েকটি শিবির থেকে প্রশ্ন উঠেছে, প্রথম দফায় গুলিবর্ষণ থামিয়ে জঙ্গিরা ফাঁদ পেতেছে কি না, তা বুঝতে সেনাবাহিনী আরও সতর্ক হল না কেন?

প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরীর মতে, ‘‘পণবন্দি থাকলে হয় সেই বাড়িটিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে হবে (সে-ক্ষেত্রে পণবন্দিরাও প্রাণ হারাবেন) অথবা বাড়িতে ঢুকে পণবন্দিদের মুক্ত করতে হবে। কর্নেল শর্মা প্রকৃত নেতার মতো কাজ করেছেন।’’ প্রাক্তন মেজর জেনারেল অরুণ রায়ের মতে, ‘‘কমান্ডিং অফিসার নেতৃত্ব দিলে বাকিরা বাড়তি উৎসাহ পান।’’


(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

অন্য বিষয়গুলি:

Terrorism Indian Army
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy