প্রতীকী ছবি।
কাঠুয়া গণধর্ষণ ও খুন নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে কাশ্মীরে সব প্রাইভেট কোচিং সেন্টার ৯০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেহবুবা মুফতি সরকার।
কাঠুয়া নিয়ে বিক্ষোভের সময়ে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ২৪ জন পড়ুয়া। শুক্রবার ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে অবস্থান কড়া করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শিক্ষামন্ত্রী আলতাফ বুখারির মতে, নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পড়ুয়ারা। এ বার পড়াশোনায় ফিরে যাওয়া উচিত। বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী মানুষও চাইছেন পড়ুয়ারা ফের পড়াশোনা শুরু করুক। কিন্তু কিছু ‘রহস্যময় শক্তি’ ক্রমাগত পড়ুয়াদের বিক্ষোভে মদত দিচ্ছে।
সরকারের কর্তারা জানাচ্ছেন, স্কুল-কলেজের মতো প্রাইভেট কোচিং সেন্টারও বিক্ষোভের কেন্দ্র হয়ে উঠছে। স্কুল-কলেজ খুললেই পড়ুয়াদের জমায়েত হচ্ছে। তার পরেই রাস্তায় নেমে বাহিনীকে পাথর ছোড়া শুরু হচ্ছে। ফলে ফের স্কুল-কলেজ বন্ধ করতে হয়েছে। সম্প্রতি শ্রীনগরের কয়েকটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের কাছেও পাথর ছোড়া হয়। ফলে প্রাইভেট কোচিং সেন্টার ৯০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ স্কুলশিক্ষা অধিকর্তার কাছে পাঠিয়েছে সরকার। জেলাশাসকদের জানানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। যে সব শিক্ষক এই কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের তালিকাও চেয়েছে শিক্ষা দফতর।
উপত্যকার শিক্ষকদের একাংশের মতে, এর ফলে আরও বিপাকে পড়বে পড়ুয়ারা। কারণ, গত দু’বছরে বারবার অশান্তির জেরে স্কুল বন্ধ হয়েছে। স্কুল পড়ুয়াদের বড় অংশই প্রাইভেট কোচিং সেন্টারের উপরে নির্ভরশীল। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যও কয়েকটি কোচিং সেন্টারের বিশেষ কোর্স রয়েছে। সেই সেন্টারগুলি বন্ধ হওয়ায় কাশ্মীরে বসে এই ধরনের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়াও এখন আরও কঠিন হয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy