গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ইতিহাস বলছে, ১৯৭৮ সালের বিধানসভা ভোটে মেঘালয়ে ‘অল পার্টি হিল লিডার্স কনফারেন্স’ নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছিল। সেই শেষ বার। তার পর থেকে গত সাড়ে ৪ দশক ওই রাজ্য ভোট পরবর্তী জোটের সরকার দেখেছে। পর পর ৯টি বিধানসভা ভোটের পর প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির নেতাদের একাংশ হাত মিলিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না।
মেঘালয় বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে ভোট হয়েছিল ৫৯টিতে। প্রতিটি বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই সে রাজ্যে ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। তা মিলে গিয়েছে। তবে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় মেঘালয়ে, আসন সংখ্যার হিসাবে কোনও দলই ২৫ পেরোবে না বলে পূর্বাভাস দেওয়া হলেও তা মেলেনি। প্রধান শাসকদল এনপিপি ২৬টি আসনে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদু সংখ্যা’ ৩১-এর কাছে পৌঁছে গিয়েছে। প্রাক্তন সহযোগী দল ইউডিপির ১১ বিধায়ককে পাশে পেলেই তারা অনায়াসে স্থায়ী সরকার উপহার দিতে পারবে মেঘালয়বাসীকে। ২টি আসনে জেতা বিজেপিও যে সেই সরকারকে সমর্থন জানাতে পারে তা স্পষ্ট হয়েছে এনপিপি প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সঙ্গে অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২-৯৮, ২০০৩-০৮ এবং ২০১০-১৮ কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোটের সরকার ছিল মেঘালয়ে। ২০১৮-র নির্বাচনে কংগ্রেস হারলেও ২১টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হয়েছিল। ২০টি আসনে জিতে দ্বিতীয় হয় এনপিপি। এর পর ইউডিপির ৬, পিডিএফের ৪ এবং ২ জন করে এইচএসপিডিপি, বিজেপি ও নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়েছিলেন কনরাড।
মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটে ইউডিপি, এইচএসপিডিপি, পিডিএফের মতো নির্দিষ্ট এলাকা এবং জনজাতি উপগোষ্ঠী ভিত্তিক দল রয়েছে। প্রতি বারের মতো এ বারও তারা নিজস্ব জনসমর্থনের অঙ্ক মিলিয়ে আসন জিতেছে। সে রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, আলাদা ভাবে লড়াই করে কয়েকটি আসনে জেতার পরে ওই দলগুলি ‘হাওয়া বুঝে’ শক্তিশালী দলের পাশে দাঁড়ায়। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে ২১টি আসনে জিতে একক বৃহত্তম দল হয়েও ক্ষমতা দখল করতে পারেনি কংগ্রেস। বিজেপি, ইউডিপির মতো দলের সঙ্গে ভোট পরবর্তী সমঝোতা করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০টি আসনে জেতা এনপিপির নেতা কনরাড। এ বারও ত্রিশঙ্কু ইতিহাসের গতি তারই পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy