ওই গ্রামে দেড় একরের একটি চাষের জমি ছিল চন্দ্রশেখরের। জমিতে সুপারি চাষ করতেন তিনি। ২০০৩ সালে চাষের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সময়ে শোধ করতে পারেননি। এর পরই তাঁর জমি বাজেয়াপ্ত করে ব্যাঙ্ক। দুঃখে, রাগে সে দিনই ঘর ছেড়েছিলেন চন্দ্রশেখর। নিজের অ্যাম্বাসাডর চালিয়ে বোনের বাড়ি গিয়ে উঠেছিলেন।
এই জঙ্গলে বিষধর সাপ, চিতাবাঘ, বাইসন, বুনো শূকর, হাতি সবই রয়েছে। কিন্তু কখনও চন্দ্রশেখরর উপর হামলা করেনি তারা। এমনকি জঙ্গলে এ ভাবে আশ্রয় নেওয়া বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও বন দফতর তাঁকে কিছু বলে না। কারণ, চন্দ্রশেখর কোনও প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করেন না। পেট চালানোর জন্য জঙ্গলের শুকিয়ে যাওয়া লতা দিয়ে ঝোড়া বানান। পাশের গ্রামের বাজারে সেই ঝোড়া বিক্রি করে চাল, ডিল, সব্জি কিনে আনেন তিনি।
চন্দ্রশেখর কারও সঙ্গে মেশেন না। দিনভর শুকনো লতা জোগার করে ঝোড়া বানানোই কাজ তাঁর। বাইরের সমাজের সঙ্গে একপ্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। চন্দ্রশেখরকে কিন্তু এক নামে আশাপশের গ্রামের সকলেই চেনেন। তাঁর কাছে পৌঁছতে হলে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পায়ে হাঁটা পথে তিন-চার কিলোমিটার যেতে হয়। দূর থেকে কালো প্লাস্টিকের ছাউনি চোখে পড়বে তার পরই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy