Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
National news

বাবা ইলেক্ট্রিশিয়ান, মা হোটেলে রুটি তৈরি করেন, আজ তিনিই দেশের কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার

বাবা সামান্য ইলেক্ট্রিশিয়ান, মা ছোট হোটেল-রেস্তোরাঁয় রুটি তৈরি করে উপার্জন করেন। কিন্তু কষ্ট করে হলেও মেধাবী ছেলের পড়াশোনার উপর কোনও আঘাত আসতে দেননি তাঁরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:০৪
Share: Save:
০১ ১৩
বাবা সামান্য ইলেক্ট্রিশিয়ান, মা ছোট হোটেল-রেস্তোরাঁয় রুটি তৈরি করে উপার্জন করেন। কিন্তু কষ্ট করে হলেও মেধাবী ছেলের পড়াশোনার উপর কোনও আঘাত আসতে দেননি তাঁরা।

বাবা সামান্য ইলেক্ট্রিশিয়ান, মা ছোট হোটেল-রেস্তোরাঁয় রুটি তৈরি করে উপার্জন করেন। কিন্তু কষ্ট করে হলেও মেধাবী ছেলের পড়াশোনার উপর কোনও আঘাত আসতে দেননি তাঁরা।

০২ ১৩
ছেলেও তাঁদের সেই অক্লান্ত পরিশ্রমের মর্যাদা রেখেছে। দেশের কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার হয়েছেন তিনি। কনিষ্ঠতম অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিটেন্ডেন্ট পুলিশ (এএসপি) হয়ে আগামী ২৩ ডিসেম্বর রাজস্থানের জামনগর থানায় কাজে যোগ দেবেন তিনি। নিজের এই সাফল্য বাবা-মাকে উত্সর্গ করেছেন।

ছেলেও তাঁদের সেই অক্লান্ত পরিশ্রমের মর্যাদা রেখেছে। দেশের কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার হয়েছেন তিনি। কনিষ্ঠতম অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিটেন্ডেন্ট পুলিশ (এএসপি) হয়ে আগামী ২৩ ডিসেম্বর রাজস্থানের জামনগর থানায় কাজে যোগ দেবেন তিনি। নিজের এই সাফল্য বাবা-মাকে উত্সর্গ করেছেন।

০৩ ১৩
দেশের কনিষ্ঠতম এই এএসপি-র নাম সাফিন হাসান। গুজরাতের পালানপুরে জন্ম তাঁর। ছোটবেলায় একবার তাঁর জেলার জেলাশাসককে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা সমাধান করতে দেখেছিলেন।

দেশের কনিষ্ঠতম এই এএসপি-র নাম সাফিন হাসান। গুজরাতের পালানপুরে জন্ম তাঁর। ছোটবেলায় একবার তাঁর জেলার জেলাশাসককে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা সমাধান করতে দেখেছিলেন।

০৪ ১৩
খুব সহজ আর সুন্দরভাবে গ্রামবাসীর সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন সেই জেলাশাসক। তাঁদের সমস্ত সমস্যার সমাধান বাতলে দিচ্ছিলেন। বিনিময়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন শ্রদ্ধা আর সম্মান।

খুব সহজ আর সুন্দরভাবে গ্রামবাসীর সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন সেই জেলাশাসক। তাঁদের সমস্ত সমস্যার সমাধান বাতলে দিচ্ছিলেন। বিনিময়ে গ্রামবাসীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন শ্রদ্ধা আর সম্মান।

০৫ ১৩
ওই জেলাশাসককে দেখেই সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা হয় সাফিনের মনে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

ওই জেলাশাসককে দেখেই সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা হয় সাফিনের মনে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

০৬ ১৩
তাঁকে অবশ্য শুধু বাবা-মা সাহায্য করেননি, এমন এক মেধাবী ছেলের যাতে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন এক প্রতিবেশী পরিবারও।

তাঁকে অবশ্য শুধু বাবা-মা সাহায্য করেননি, এমন এক মেধাবী ছেলের যাতে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন এক প্রতিবেশী পরিবারও।

০৭ ১৩
ইউপিএসসি-তে সারা ভারতে ৫৭০ র‌্যাঙ্ক করেন তিনি এবং মাত্র ২২ বছর বয়সে ভারতে কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার হয়ে যান।

ইউপিএসসি-তে সারা ভারতে ৫৭০ র‌্যাঙ্ক করেন তিনি এবং মাত্র ২২ বছর বয়সে ভারতে কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার হয়ে যান।

০৮ ১৩
ছেলের কৃতিত্বের পর সেই সব কষ্টের দিনের কথা মনে করে চোখে জল চলে আসে তাঁর বাবা-মার।

ছেলের কৃতিত্বের পর সেই সব কষ্টের দিনের কথা মনে করে চোখে জল চলে আসে তাঁর বাবা-মার।

০৯ ১৩
একসময় সুরাতের হিরে ইউনিটে কাজ করতেন তাঁর বাবা মুস্তফা হাসান এবং মা নাসিম বানু।

একসময় সুরাতের হিরে ইউনিটে কাজ করতেন তাঁর বাবা মুস্তফা হাসান এবং মা নাসিম বানু।

১০ ১৩
সংসারে অর্থের কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু তার পরই দুর্ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। তাঁদের দু’জনেরই কাজ চলে যায়।

সংসারে অর্থের কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু তার পরই দুর্ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। তাঁদের দু’জনেরই কাজ চলে যায়।

১১ ১৩
অর্থের অভাব এতটাই প্রকট হয়ে গিয়েছিল যে, দু’বেলা খাবার জোটানোও মুশকিল হয়ে পড়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ছেলের পড়াশোনার খরচ কী ভাবে বহন করবেন, তাই ছিল সবচেয়ে দুশ্চিন্তার।

অর্থের অভাব এতটাই প্রকট হয়ে গিয়েছিল যে, দু’বেলা খাবার জোটানোও মুশকিল হয়ে পড়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ছেলের পড়াশোনার খরচ কী ভাবে বহন করবেন, তাই ছিল সবচেয়ে দুশ্চিন্তার।

১২ ১৩
পরে অনেক দরজায় ঘুরে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ জোগার করেন সাফিনের বাবা। আর তাঁর মা হোটেল-রেস্তোরাঁয় রুটি বানিয়ে উপার্জন শুরু করেন।

পরে অনেক দরজায় ঘুরে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ জোগার করেন সাফিনের বাবা। আর তাঁর মা হোটেল-রেস্তোরাঁয় রুটি বানিয়ে উপার্জন শুরু করেন।

১৩ ১৩
কিন্তু এর মাঝের সময়টা তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল ওই প্রতিবেশী পরিবার। নিজের ইনস্টাগ্রামে তাঁদের ছবি শেয়ার করে তাঁদের যশোদা মা এবং নন্দ বাবা বলে অভিহিত করেছেন সফিন। লিখেছেন, ‘রক্তের সম্পর্ক নেই, এঁরা আমার যশোদা মা আর নন্দ বাবা।’

কিন্তু এর মাঝের সময়টা তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল ওই প্রতিবেশী পরিবার। নিজের ইনস্টাগ্রামে তাঁদের ছবি শেয়ার করে তাঁদের যশোদা মা এবং নন্দ বাবা বলে অভিহিত করেছেন সফিন। লিখেছেন, ‘রক্তের সম্পর্ক নেই, এঁরা আমার যশোদা মা আর নন্দ বাবা।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy