রামোজি রাও। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের অন্যতম ‘মিডিয়া ব্যারন’ তথা ইটিভি নেটওয়ার্ক এবং রামোজি ফিল্ম সিটির প্রধান রামোজি রাও প্রয়াত। শুক্রবার রাতে হায়দরাবাদে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮৭। উচ্চ রক্তচাপ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে গত ৫ জুন রামোজিকে হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার পর থেকে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
রামোজি, চেরুকুরি রামোজি রাও নামেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর তৈরি ‘রামোজি ফিল্ম সিটি’ বিশ্বের বৃহত্তম সিনেমা সেট। ‘উষাকিরণ মুভিজ’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থারও মালিক ছিলেন এই প্রথম সারির ব্যবসায়ী। বিভিন্ন ভাষায় ছবি প্রযোজনা করেছেন তিনি। জাতীয় পুরস্কারও জিতেছিলেন।
রামোজির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মহলের মানুষ। তেলুগু সংবাদমাধ্যম এবং বিনোদন জগতে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের কথাও উল্লেখ করেছেন অনেকে। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মোদী লিখেছেন, ‘‘রামোজি রাওয়ের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি ছিলেন এক দূরদর্শী ব্যক্তিত্ব, যিনি ভারতীয় গণমাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। সাংবাদিকতা এবং চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। রামোজি রাও ভারতের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তাশীল ছিলেন। আমি ভাগ্যবান যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার এবং তার প্রজ্ঞা থেকে উপকৃত হওয়ার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছি। এই কঠিন সময়ে ওঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অগণিত ভক্তের প্রতি সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।’’
মমতা লিখেছেন, ‘‘রামোজি রাওয়ের মৃত্যুতে শোকাহত। এনাডু গোষ্ঠী, ইটিভি নেটওয়ার্ক এবং একটি বৃহৎ ফিল্ম সিটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। রামোজি রাওয়ের তেলুগু এবং সমস্ত আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক সম্পর্কের নিশান বয়ে নিয়ে গিয়েছেন। আমি তাঁকে ভাল করে চিনতাম এবং তাঁকে নিয়ে আমার ব্যক্তিগত স্মৃতি রয়েছে। এক বার উনি আমাকে ওঁর স্টুডিয়োতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যেখানে আমি এবং অন্য এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করি। আমার আজও সেই দিনের কথা মনে আছে। আমি ওঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অনুগামীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy