ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, মায়াবতীকে ছেড়ে বিএসপি নেতা-কর্মীদের অখিলেশ সিংহ যাদবের এসপি শিবিরে যোগদানের ভিড় তত বাড়ছে। আগামী মাসে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রতিফলন দেখা যাবে বলে মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক শিবির। দলিত নেত্রীর অনুগত নেতা-কর্মীদের দল ছাড়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, গত দেড় বছরে মায়াবতীর বিশ্বাসযোগ্যতায় টান পড়া। তিনি কার্যত বিজেপি-র বি টিম হিসেবে কাজ করছেন বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে তাঁর নিজের দলেরই একাংশ। পাশাপাশি দলের যাবতীয় ক্ষমতাকে মায়াবতীর কুক্ষিগত করার প্রবণতাতেও ক্ষুব্ধ দলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা নেতারা।
এসপি-র জাতীয় সচিব রাজীব রাই বলেন, “এই বিক্ষুব্ধরা তাঁদের নিজেদের এলাকায় গিয়ে মানুষের কাছে খুলে বলছেন যে, কী ভাবে মায়াবতীর ছায়ায় তাঁদের গুটিয়ে থাকতে হয়েছে। নিজেদের মানসম্মান নিয়ে বিএসপি-তে থাকা যায়নি। আমরা এঁদের প্রাপ্য সম্মান দিচ্ছি। তাঁদের এই বার্তা যাচ্ছে পুরনো বিএসপি সমর্থকদের কাছে এবং তাতে আখেরে আমাদেরই লাভ।” পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির সর্বভারতীয় সম্পাদক কিরণময় নন্দর কথায়, “পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, আগামী বছর ভোটের সময় বিএসপি বলে দলটার অস্তিত্ব কতটা থাকবে, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে! পুরোটাই ভেঙে চলে আসছে এসপি-তে। তাদের কর্মী এবং নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছেন, বিএসপি-তে থাকতে হলে বিজেপি বিরোধিতা করা যাবে না। রাজ্যের বিরোধী দল হয়েও যদি প্রকাশ্যে বিরোধিতা না করা যায়, তা হলে তাঁদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব্ই ক্রমশ বিপন্ন হয়ে পড়বে। আর সে কারণেই বিএসপি ছাড়ার হিড়িক।” তাঁর মতে, এর ফলে দলিত, মুসলিম, যাদব এবং উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের জাঠ ভোটকে একত্রিত করতে পারবে এসপি। কৃষক আন্দোলনের জেরে গোটা পশ্চিমাঞ্চল বিজেপি সরকারের উপর ক্ষোভে ফুটছে। এসপি নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা কৃষকদের পাশে রয়েছেন। এই আন্দোলনকে সমর্থন করছেন অখিলেশ সিংহ যাদব। সে কারণে এ বার জাঠ ভোট তাদের ঝুলিতে আসবে বলে আশা করছে এসপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy