বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’-য় যাবেন না তিনি। যোগ দেবেন না বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটেও। কারণ দু’পক্ষই ‘দলিত বিরোধী’। বুধবার বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সভানেত্রী মায়াবতী সে কথা ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আগামী লোকসভা ভোটে আমরা একার জোরেই লড়ব। তার আগে পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোটে স্থানীয় কিছু দলের সঙ্গে বিএসপির সমঝোতা হতে পারে।’’
বেঙ্গালুরুতে মঙ্গলবারের বৈঠকে বিজেপির মোকাবিলার উদ্দেশ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন বিরোধী জোট— ‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স)। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর অভিযোগ, ওই জোট ‘দলিত বিরোধী’। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস বর্ণবাদী এবং পুঁজিবাদী দল। তাদের সহযোগী নেতাদেরও কেউ দলিত বা নিপীড়িতদের পক্ষে নন। কংগ্রেস যদি বিআর অম্বেডকরের আদর্শ অনুসরণ করত, তা হলে বিএসপি গড়ারই প্রয়োজন হত না। এনডিএ-ও দলিত বিরোধী।’’ এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
গত ২৩ জুন পটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের ডাকে বিজেপি বিরোধী নেতাদের বৈঠকের আগে কটাক্ষ করে মায়াবতী টুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘ওখানে শুধু হাত মেলানো হবে, হৃদয় মিলবে না।’’ তবে বিরোধী জোট সম্পর্কে মায়াবতীর নেতিবাচক মন্তব্য তেমন প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। বস্তুত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপির বিরোধী জোট সফল না হওয়ার পরে মায়াবতী একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে কার্যত বিজেপির ‘বি দল’ হিসেবে কাজ করছেন বলেই মনে করছেন অন্যান্য বিরোধী নেতারা।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, মায়াবতী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পুরনো দুর্নীতির মামলা নতুন করে খুঁচিয়ে তুলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাঁকে চাপ দিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে, জয়ের আশা নেই জেনেও গত বছর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সব ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়ে বিরোধী ভোট কাটার মতো সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন মায়াবতী। রাজ্যের ৪২৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছিল তাঁর দল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি জোটের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছিলেন মায়াবতী।