ভারী বৃষ্টিতে ধস নেমে বিপর্যয়। কেরলের ওয়েনাড় জেলায় কাদাপাথরের স্তূপে চাপা পড়ে মৃত্যু হল অন্তত ৪০ জনের। ধ্বংসস্তূপে আরও অনেকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সব দফতর এবং বিভাগকে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বর্ষণ হচ্ছে ওয়েনাড়ে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ ওয়েনাড়ের পার্বত্য এলাকায় প্রথম ধস নামার খবর পাওয়া যায়। ভোর ৪টে ১০ মিনিটে আরও একটি জায়গায় ধস নামার খবর আসে। ভোরেই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুসেনার দু’টি হেলিকপ্টারকেও উদ্ধারকাজে মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কেরলের রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন জানিয়েছিলেন, আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে বাড়তে থাকতে নিহতদের সংখ্যা। ভারী বৃষ্টি এবং ধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাড় জেলার মেপ্পাডি, মুন্ডাকাই এবং চুরাল মালায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির খবর অনুযায়ী, ধসের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক বছরের এক শিশুরও। আহত ১৬ জনের চিকিৎসা চলছে মেপ্পাডি এলাকার একটি হাসপাতালে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তত ১০০ জন মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, “উদ্ধারকাজে গতি আনতে সব রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে।” যদিও বৃষ্টির কারণে মাঝেমধ্যেই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তিনি জানান, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে কেরল সরকারকে সব রকম সাহায্য করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর তরফে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ওয়েনাড়ের এই বিপর্যয় নিয়ে এক্সে পোস্ট করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধীও। রাহুলও জানান যে, উদ্ধারকাজের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্থানীয় জেলাশাসকের কথা হয়েছে।