প্রতিবাদে দিল্লির চিকিৎসকরা। ছবি: সৌজন্য টুইটার।
নিট পরীক্ষার কাউন্সেলিং কেন হচ্ছে না, কেন প্রতিবাদরত চিকিৎসকদের উপর হামলা করেছে পুলিশ, কেন তাঁদের সতীর্থদের গ্রেফতার করা হল— এরই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে দিল্লি। হাজার হাজার রেসিডেন্সিয়াল চিকিৎসক প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। প্রায় চার হাজার চিকিৎসক সোমবার মধ্যরাতে সরোজিনী থানা ঘেরাও করেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়শন(এফএআইএমএ) এবং চিকিৎসকদের অন্যান্য সংগঠন বুধবার থেকে দেশ জুড়ে কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমস-এর রেসিডেন্সিয়াল চিকিৎসকদের সংগঠনও সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়া যায় তা হলে বুধবার থেকে আপৎকালীন নয় এমন সমস্ত পরিষেবা স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।
চিকিৎসকদের অভিযোগ, প্রতিবাদ মিছিলের সময় তাঁদের উপর অন্যায় ভাবে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। মহিলা চিকিৎসকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়েছে। প্রতিবাদ মিছিলে বেরোলে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় চিকিৎসকদের।
যদিও পুলিশ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেছে, চিকিৎসকরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ আইটিও রোড ৬-৮ ঘণ্টা বন্ধ করে রেখেছিলেন। বার বার সরে যাওয়ার অনুরোধ করার পরেও তাঁরা সরেননি। উল্টে আরও চিকিৎসক জড়ো হয়ে যান চলাচল একেবারে স্তব্ধ করে দেন। চিকিৎসকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতেই তাঁরা পুলিশের উপর হামলা চালান বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে দিল্লি পুলিশ। এমনকি পুলিশকর্মীদের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া, গাড়িতে ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটান চিকিৎসকরা, দাবি পুলিশের।
চিকিৎসকদের প্রতিবাদ, ধর্নার জেরে রাজধানীর চিকিৎসা পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে তিনটি বড় সরকারি হাসপাতালে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সফদরজং, রাম মনোহর লোহিয়া এবং লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালে পরিষেবায় প্রভাব পড়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, নিট পরীক্ষা হওয়া সত্ত্বেও কেন কাউন্সেলিং করা হচ্ছে না, কেন হাসপাতালগুলিতে নিয়োগ হচ্ছে না, তার জবাব সরকারকে দিতে হবে।
তাঁদের আরও অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব। কম চিকিৎসক থাকার ফলে বাকি চিকিৎসকদের কাজের চাপ আরও বেড়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy