ছবি: সংগৃহীত।
ধুলোঝড়ে বিলবোর্ড উপড়ে আট জনের মৃত্যু হল মুম্বইয়ে। জখম হলেন ৫৯। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছিলেন অনেকেই। ৬৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ হঠাৎই আকাশ কালো করে জোড়ালো ঝড় ওঠে মুম্বইয়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় ধুলো ঝড়। সেই ঝড়ের ধাক্কায় ঘাটকোপর এলাকায় উপড়ে যায় একটি বিশালাকার ধাতব বিজ্ঞাপনের বোর্ড। ভেঙে পড়া সেই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েন অনেকেই।
ঘটনাস্থলের যে সমস্ত ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে তাতে দেখা যায়, বিজ্ঞাপনী বোর্ডটি ভেঙে পড়ছে একটি পেট্রোল পাম্পের উপর। যার আঘাতে দুমড়ে গিয়ে নীচে নেমে আসে পেট্রোলপাম্পের ছাদ। চাপা পড়ে পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাড়িও। বিলবোর্ডের ধাতব কাঠামো বহু গাড়ির ছাদ ফুঁড়ে ঢুকে যায়। আয়তনের হিসাব করে পুলিশ তখনই জানিয়েছিল, বিলবোর্ডের নীচে অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারে। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। অবশেষে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সরানো যায় ধ্বংসস্তূপ। তবে ততক্ষণে ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন জনের। উদ্ধার করা হয় ৬৭ জনকে। এঁদের অধিকাংশই আহত হয়েছেন। অনেককেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।
এই ঘটনায় মহরাষ্ট্র সরকার বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
সোমবার বিকেলে এই ঝড় ওঠার কিছু ক্ষণ আগেই মহারাষ্ট্রের আবহাওয়া দফতর সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। আবহাওয়ায় বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল মুম্বই, পালঘর এবং থানের বাসিন্দাদের। তার পরেই কয়েক মিনিটের ওই ঝড়ে আরব সাগরের তীরের ঝকঝকে শহর তছনছ হয়ে যায়। ধুলোয় গোটা শহরটাই ধূসর রঙ নেয়। একটা সময়ে দৃশ্যমানতা গিয়ে পৌঁছয় প্রায় শূন্যতে। ফলে থমকে যায় শহরের সমস্ত যান চলাচল। ঝড়ে মুম্বই শহরের বহু গাছ, বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে যায়। থমকে যায় রেল এবং মেট্রো পরিষেবাও। এর মধ্যেই ঝড়ের প্রাবল্যে ঘাটকোপড়ের ওই বিলবোর্ডটিও ভেঙে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy