‘একটাই সেনা’! উদ্ধবের পক্ষে থাকা বিধায়করা হুইপ না মানলে ১৪ দিন পরে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি শিন্ডেদের। ফাইল চিত্র।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন ‘প্রকৃত’ শিবসেনা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে একনাথ শিন্ডে শিবিরকেই। সেই স্বীকৃতিকে কাজে লাগিয়ে এ বার শিবসৈনিকদের এক হওয়ার ডাক দিল তারা। তবে আপাত ভাবে একে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস বলে মনে করা হলেও, এর নেপথ্যে রাজনীতির অঙ্কও দেখছেন কেউ কেউ। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনার নবনিযুক্ত মুখ্যসচেতক ভরত গোগাওয়ালে ১৪ দিনের সময়সীমা উল্লেখ করে হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন, এই সময়ের পরেও দলের যে সমস্ত বিধায়ক হুইপ বা নির্দেশ মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে যথোচিত পদক্ষেপ করা হবে। এখনও যে বিধায়করা উদ্ধব ঠাকরের প্রতি আনুগত্য দেখাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশেই তিনি এই বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবারই শিবসেনার তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছে, দু’সপ্তাহের জন্য দলের নির্দেশ অমান্যকারী কারও বিরুদ্ধে তারা কোনও পদক্ষেপ করছে না। তবে তারপর কী হবে, তা আপাতত শীর্ষ আদালতের উপরেই নির্ভর করছে বলে শিন্ডে শিবিরের মত। এখন থেকেই অবশ্য ‘যথাবিহিত ব্যবস্থা’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখছেন শিন্ডেরা। শিবসেনা সূত্রে খবর, লোকসভার দলনেতা পদেও বদল আনতে চলেছে তারা। শিবসেনা নেত়ৃত্বের দাবি, উদ্ধব শিবির থেকে আরও অনেক বিধায়ক আনুগত্য বদলে শিন্ডে শিবিরে ভিড়বেন। আপাতত তাই ধীরে চলো নীতি নিয়ে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে চাইছে তারা।
বুধবার উদ্ধবপুত্র আদিত্যকে আক্রমণ করে শিবসেনার তরফে বলা হয়, অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ার আতঙ্কেই আদিত্য রোজ সরকার পড়ে যাওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মহারাষ্ট্রে শিন্ডেরা যে সরকার চালাচ্ছেন, তাকে সহজে ফেলা যাবে না বলে জানিয়েছেন শিবসেনা। উদ্ধবশিবির অবশ্য বলছে, কমিশনের নির্দেশে দলের নাম এবং প্রতীক পেলেও মহারাষ্ট্রের মানুষের সমর্থন শিন্ডেদের সঙ্গে নেই। দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে সম্প্রতি দফায় দফায় বৈঠক করছেন উদ্ধবরা। এই আবহে শিন্ডেদের হুইপ মানার হুঁশিয়ারি উদ্ধবকে আরও কোণঠাসা করার কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy