বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি। ছবি: পিটিআই।
বৃষ্টি-বিপর্যস্ত দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ উসমানপুরে জলভর্তি একটি গভীর গর্তে পড়ে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টিতে খেলার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। অন্য দিকে, শালিমার বাগ এলাকায় প্লাবিত আন্ডারপাসে ডুবে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বসন্ত বিহার এলাকায় একটি নির্মাণস্থলে বৃষ্টিতে পাঁচিল ভেঙে পড়ে তিন শ্রমিকের উপর। দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার বৃষ্টির জেরে সকালে দিল্লি বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদ ভেঙে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল।
বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ভারী বৃষ্টির পর, শনিবার সকালে বৃষ্টির তেজ কিছুটা কমেছে। সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হয়নি ঠিকই, তবে বৃষ্টি একেবারে কমেও যায়নি। দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীর নানা প্রান্তে। দিল্লিতে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে শুক্রবারই। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, শনিবার দিল্লি-এনসিআরের বিভিন্ন অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হবে দ্বারকা, পালম, বসন্ত বিহার, বসন্ত কুঞ্জ, গুরগাঁও, ফরিদাবাদ এবং মানেসরেও।
এক দিকে বৃষ্টিতে নাজেহাল পরিস্থিতি গোটা দিল্লির। তার মধ্যে শুক্রবার বৃষ্টির ঝোড়ো হাওয়ায় বহু এলাকায় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। বহু এলাকা প্লাবিত। শনিবারেও বহু রাস্তা থেকে জল নামেনি। যদিও স্থানীয় প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্লাবিত এলাকাগুলি থেকে জল নামানোর চেষ্টা চলছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বহু এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পানীয় জলের সঙ্কটও। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, চন্দ্রওয়াল ডব্লিউ ডব্লিউ-২ পাম্প হাউসে বৃষ্টির জল ঢুকে পড়ায় বহু এলাকায় পানীয় জলের সরবরাহে প্রভাব পড়েছে। যদিও দিল্লি জল বোর্ড জানিয়েছে, শনিবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পরিস্থিতিতে নজরদারি চালানোর জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে দিল্লি সরকার। দিল্লি পুরনিগম এবং পূর্ত দফতর প্লাবিত এলাকাগুলিতে পাম্প দিয়ে জল নামনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় জল জমছে, সেই অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি কুইক রেসপন্স টিমও গঠন করা হয়েছে বলে দিল্লি সরকার জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy