গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
ম্যানহোল সাফাই কর্মীদের বিষাক্ত গ্যাসের হাত থেকে বাঁচাতে কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? ওই সাফাই কর্মীদের জন্য কি মুখোশ বা অক্সিজেন সিলিন্ডারের মতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র? কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালের কাছে বুধবার এ কথা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ। কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছাড়াই যে ম্যানহোল কর্মীদের কাজে নামানো হচ্ছে, তা ‘রীতিমতো অমানবিক’, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের।
বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি বি আর গাভাইকে নিয়ে গড়া শীর্ষ আদালতের ওই বেঞ্চ এ দিনের শুনানিতে এও মন্তব্য করেছে, ‘‘কোনও সভ্য দেশই তার নাগরিকদের গ্যাস চেম্বারে পাঠায় না। ম্যানহোল সাফাই কর্মীদের কেন মুখোশ দেওয়া হয়নি? কেন ওঁদের দেওয়া হয়নি অক্সিজেন সিলিন্ডার? ম্যানহোল সাফাই করতে গিয়ে এ দেশে মাসে ৪/৫ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।’’
শীর্ষ আদালতের ওই বেঞ্চ এ দিন মন্তব্য করেছে, ‘‘স্বাধীনতার পর ৭০ বছর কেটে গিয়েছে। এখনও দেশে জাতপাত প্রথা চলছে। মানুষের সঙ্গে অমানাবিক আচরণ করা হচ্ছে। রাস্তা, নর্দমা ও ম্যানহোল সাফাইয়ের কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে বিশেষ কয়েকটি জাতি বা বর্ণের মানুষদের। অষ্পৃশ্যতাকে বর্জন করেছে সংবিধান। অথচ, আপনারা কি সেই অষ্পৃশ্যতার সঙ্গেই হাত মেলাচ্ছেন?’’
আরও পড়ুন- ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অযোধ্যা-শুনানি শেষ করতে চায় সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন- জননিরাপত্তা আইনে আটক ফারুক আবদুল্লা, কেন্দ্রকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট
বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘সংবিধানে দেশের সব নাগরিকের জন্য সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। অথচ সব নাগরিক সমানাধিকারের সুবিধা পাচ্ছেন না।’’
তফশিলি জাতি/উপজাতি আইনে গ্রেফতারি নিয়ে গত বছর সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্র্রের অ্যাটর্নি জেনারেল। তারই প্রেক্ষিতে এ দিন এই মন্তব্য করেছে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy