প্রতীকী ছবি।
ট্রেনে বসার আসন নিয়ে একদল যাত্রীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। সেই ঝামেলা থামাতে এগিয়ে আসেন স্টেশনে কর্তব্যরত দুই রেলপুলিশ। লাঠি উঁচিয়ে সেই ঝামেলা থামানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না-আসায় লাঠিচার্জ শুরু করেন। লাঠির বাড়ি গিয়ে পড়ে এক যাত্রীর পেটে। অভিযোগ, বেশ কয়েক বার আঘাত করার ফলে ওই যুবকের পেট ফেটে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সীতামঢ়ীতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুম্বইগামী কর্মভূমি এক্সপ্রেস ধরতে গিয়েছিলেন মহম্মদ ফুকরান নামের এক যুবক। জনকপুর রোড স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার কথা ছিল তাঁর। স্টেশনে ট্রেন পৌঁছতেই বসার আসনের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। রেলপুলিশের দাবি, বসার আসন নিয়ে যাত্রীদের কয়েক জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্টেশনে কর্তব্যরত রেলপুলিশের কর্মীরা।
রেলপুলিশের দাবি, তাঁরা দু’পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার পরেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। পাল্টা রেলপুলিশের উপর হামলা চালান যাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন তাঁরা। সেই সময়েই আহত হন ফুকরান নামের ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের কিছু দিন আগেই পেটে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, যাত্রীদের উপর লাঠিচার্জ করার সময় রেলপুলিশের এক কর্মীর লাঠির বাড়ি ফুকরানের পেটে পড়ে। তাঁর পেটের অস্ত্রোপচারের সেলাই কেটে যায়। আর পেটের ভিতর থেকে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনার জন্য রেলপুলিশের দুই কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মুজফ্ফরপুরের পুলিশ সুপার (রেল) গৌরব মঙ্গলা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনার সময় আর কারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফুকরানকে মুজফ্ফরপুর শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy