মনমোহন সিংহ
ভোটে কালো টাকার খেলা বন্ধ করতে নির্বাচনী বন্ড এনেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা যাচ্ছে ৯০ শতাংশ বন্ডের অর্থই যাচ্ছে শাসক দল বিজেপির ঘরে! তাই নির্বাচনী প্রচার সরকারি অর্থেই হওয়ার দাবিতে আজ সওয়াল করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। তাঁর মতে, বন্ডের টাকা অধিকাংশই শাসক শিবিরে চলে যাওয়ায় বিরোধী দলগুলির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু সরকারকে বুঝতে হবে, বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র আত্মাহীন। বিরোধী-শূন্য হয়ে গণতন্ত্র বেঁচে থাকতে পারে না।
আজ প্রাক্তন বামপন্থী নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের শতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি স্মরণসভার আযোজন করেছিল তাঁর দল সিপিআই। সেখানে নির্বাচনী সংস্কার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নির্বাচনী বন্ডের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন বলেন, ‘‘৯০ শতাংশ বন্ডের অর্থ শাসক শিবিরে চলে গেলে সেই সিদ্ধান্তের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে অবশ্যই ভাবা প্রয়োজন।’’ নির্বাচনী খরচের উপরে নজর রাখা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্ম’ (এডিআর)-এর মতে, ২০১৭-১৮ সালে সবক’টি রাজনৈতিক দল মিলে বন্ডের মাধ্যমে ৪৬৯.৮৯ কোটি টাকা অনুদান পায়। তার মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ৪৩৭.০৪ কোটি টাকা। আজ আলোচনায় তাই সবার আগে প্রচারে লাগাম লাগানোর জন্য সরকারি খরচে নির্বাচনের উপরে জোর দেন মনমোহন। তাঁর কথায়, ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত দীর্ঘ দিন আগেই সরকারি খরচে নির্বাচনী প্রচারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বামপন্থী নেতার সেই ভাবনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
এ দিকে আজই আনুষ্ঠানিক ভাবে সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া ডি রাজার মতে, নির্বাচনে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার জন্য সরকারি খরচে প্রচার হওয়া প্রয়োজন। তবে ইভিএম প্রশ্নে বিরোধীদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে বিরোধীরা দ্বিধাবিভক্ত। কেউ ইভিএমের পক্ষে। কেউ আবার ব্যালটে ফিরে যাওয়ার পক্ষে।’’ আজ অন্য আরেকটি সিদ্ধান্তে বিহারের তরুণ ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে জাতীয় কর্ম পরিষদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy