—প্রতীকী ছবি।
মণিপুরে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার ১৭ মাস পরে প্রথম বার দিল্লিতে মেইতেই, কুকি ও নাগা বিধায়কদের মুখোমুখি আলোচনায় বসানোর আয়োজন হল। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ যদিও দাবি করেছেন, কুকি ও মেইতেই নেতাদের মধ্যে একাধিক বার শান্তি আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনও পক্ষই আনুষ্ঠানিক ভাবে তা স্বীকার করেনি। অবশ্য, মঙ্গলবারের প্রস্তাবিত বৈঠকও কতটা সফল হবে সন্দেহ থাকছে। কারণ, কুকি বিধায়কেরা বৈঠকে যোগদানের বিষয়ে সোমবার বিকেল পর্যন্ত মনস্থির করতে পারেননি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই বৈঠকের আয়োজন করেছে। মূলত নাগা বিধায়কদের মধ্যস্থতাতেই দুই পক্ষকে আলোচনায় রাজি করানো গিয়েছে বলে রাজ্য সরকার সূত্রে খবর। মেইতেইদের তরফে অবশ্য আলোচনাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এমনকি মন্ত্রী-বিধায়ক টি বিশ্বজিৎ, টি বসন্তকুমার, কে ইবোমচা, ডি সাপাম রঞ্জন, টি রাধেশ্যাম, টি রবীন্দ্র, স্পিকার টি সত্যব্রতেরা বৈঠকে হাজির থাকার কথা জানিয়েছেন। কুকিদের তরফে হাজির থাকতে পারেন লেটপাও হাওকিপ, পাওলিয়েনলাল হাওকিপ, এইচ কিপজেন। নাগাদের তরফে থাকবেন আওয়াংবাও নেওমাই, এল ডিখো, রাম মুইভা। অনেকেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। সব দলের বিধায়কদের ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি দিয়ে, ফোন করে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। দিল্লি যাওয়ার আগে বিজেপির বিধায়কেরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বিশেষ বৈঠকে যোগ দেন।
অবশ্য কুকি বিধায়ক লেটপাও হাওকিপ জানান, “দিল্লির তরফে প্রস্তাব এলেও আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাচ্ছি। এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। সাত বিজেপি বিধায়ক-সহ ১০ কুকি বিধায়ক মণিপুরে পৃথক প্রশাসনের দাবিতে অনড়। কুকিরা যেহেতু মণিপুরে বিজেপি শাসিত ও মেইতেই অধ্যুষিত সরকারের অধীনে থাকতে নারাজ, তাই বৈঠকে কুকি বিধায়করা কোনও আপসেও যেতে পারবেন না। তাই আলোচনার ফলাফল নিয়ে আশাবাদী নন কুকিরা।” এ দিকে, মণিপুরে বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুরে তল্লাশি চালিয়ে যৌথ বাহিনী ৯ মিলিমিটার পিস্তল, কার্বাইন, একে-৪৭, একনলা রাইফেল, আড়াই কেজি আইইডি, গ্রেনেড, মর্টার ইত্যাদি-সহ প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy