ত্রুইপাল্যান্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কোনও চিঠি তাঁর কাছে পৌঁছয়নি বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। কিন্তু ওই চিঠির প্রতিলিপি পৌঁছে গিয়েছে সিপিএম নিয়ন্ত্রিত টিটিএএডিসি-র (ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়া অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল) প্রধান রণজিৎ দেববর্মার কাছে।
রণজিৎবাবু জানান, রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দফতরের মাধ্যমে চিঠিটি তাঁর কাছে এসেছে। এর জবাব রাজ্য সরকারকে পাঠানো হবে। তাঁর কথায়, ‘‘টিটিএএডিসি ত্রুইপাল্যান্ডের দাবি সমর্থন করে না। উপজাতি মানুষের জন্য এই সংস্থাকে আরও ক্ষমতাশালী করার দাবি জানানো হবে।’’
নরেন্দ্র মোদীর সরকার পৃথক রাজ্য গঠনের বিষয়ে ত্রিপুরার মতামত জানতে চাওয়ায় প্রশাসন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। উপজাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা কেন্দ্রের চিঠির বক্তব্য জানেন না বলে দাবি করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, ওই চিঠি সম্ভবত রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরে এসেছিল। সেখান থেকে উপজাতি কল্যাণ দফতরের মাধ্যমে সেটির প্রতিলিপি টিটিএএডিসি-র কাছে পাঠানো হয়েছে।
কী ভাবে ওই চিঠি রণজিৎবাবুর হাতে পৌঁছল, তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য সচিবালয়ে।
অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্তের পরেই পশ্চিমবঙ্গে গোর্খাল্যান্ড-সহ দেশের উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে উপজাতিদের জন্য পৃথক রাজ্য গঠনের জন্য আন্দোলন শুরু হয়। ত্রিপুরায় উপজাতি-অধ্যুষিত টিটিএএডিসি এলাকা নিয়ে ‘ত্রুইপাল্যান্ড’ নামে নতুন রাজ্যের দাবিতে সরব হয় উপজাতি সংগঠন আইপিএফটি। ওই সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে দাবিপত্রও পেশ করে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর বলেন, “রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে মদত দিচ্ছে দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি। সিপিএম রাজনৈতিক ভাবে এ সবের মোকাবিলা করবে।” ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসও পৃথক রাজ্যের দাবি সমর্থন করছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy