—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
টাকা খরচ করে দাঁতের চিকিৎসা করিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকদের ভুলের মাসুল গুনতে হচ্ছিল যুবককে। তাঁর ১০টি দাঁত ভুল চিকিৎসার কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। দাঁত ফেরাতে না পারলেও সহজে ছাড়ার পাত্র নন তিনি। তাই আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটেন। শেষমেশ জয়ও পেলেন।
দাঁতের ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন ওই যুবক। তিনি কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। অভিযোগ, তিনি ওই ক্লিনিকে দাঁতের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে, তাঁর দাঁত নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ১০টি দাঁত নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানান যুবক। দাবি করেন ক্ষতিপূরণ।
যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে কর্নাটক স্টেট ডেন্টাল কাউন্সিল তদন্ত করে। দেখা যায়, যুবকের দাঁতের ক্ষতির জন্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের গাফিলতি দায়ী। তার পরেই উপভোক্তা আদালত ওই ক্লিনিককে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। দাঁতের চিকিৎসা করানোর জন্য ক্লিনিকে যে ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন যুবক, তা-ও ফেরত পাবেন তিনি।
যুবক জানান, ২০১৬ সালে দাঁতের চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরুর নামী ক্লিনিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসক জানান, তাঁর সামনের দিকের দাঁত ঠিক করতে ‘অরথোডনটিক ট্রিটমেন্ট’-এর প্রয়োজন। দু’বছরের বেশি সময় ধরে সেই প্রক্রিয়া চলে। প্রথমে ৩৪ হাজার টাকা জমা দেন তিনি। পরে আরও ১৬ হাজার টাকা দিতে হয়।
চিকিৎসা যখন প্রায় শেষের দিকে, যুবক বুঝতে পারেন তাঁর ১০টি দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাড়ি ফুলে যাওয়া থেকে শুরু করে দাঁতে অসহ্য যন্ত্রণা, নানা রকম উপসর্গ দেখা যায়। ক্লিনিকে জানালে নতুন এক দল চিকিৎসক নিয়োগ করা হয় তাঁর চিকিৎসায়। অভিযোগ, তাঁদের চিকিৎসায় হিতে আরও বিপরীত হয়ে যায়।
এর পর অন্য একটি হাসপাতালে দাঁত দেখাতে যান যুবক। সেখান থেকে জানানো হয়, এত দিন ভুল চিকিৎসা হয়েছিল তাঁর দাঁতে। দাঁতগুলিকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। এর পরেই ক্লিনিককে আইনি নোটিস ধরিয়ে উপভোক্তা আদালতে মামলা করেন তিনি। এত দিনে জয় পেলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy