কন্যাকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, বাবার বিরুদ্ধে বোনকে খুনের অভিযোগ তুলেছিলেন পুত্র। সেই অভিযোগে গ্রেফতারও হন তিনি। কয়েক মাস জেল খাটার পর তাঁকে জামিনে মুক্ত করার জন্য পুত্রের কাছে কাকুতি মিনতি করেন। বাবাকে জামিন করানোর প্রতিশ্রুতিও দেন যুবক। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিমতো বাবার জামিন না করাতে পেরে আত্মঘাতী হলেন যুবক। উত্তরপ্রদেশের বরেলীর ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম রমেশ কুমার। সন্দেহের বশে গত বছরের অগস্টে কন্যাকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর সেই খুনের অভিযোগ তোলেন রমেশের পুত্র বিশাল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন রমেশ। বাবা গ্রেফতারের পর জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন বিশাল। তাঁর কাকা দাতারাম জানান, বিশালকে দেখলেই কান্নায় ভেঙে পড়তেন রমেশ। জেল থেকে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করতেন।
আরও পড়ুন:
দাতারাম জানিয়েছেন, বিশাল তাঁর বাবাকে কথা দিয়েছিল জামিন করাবেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গিয়েছিল। বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন বিশাল। তার পরই মঙ্গলবার ঘর থেকে বিশালের দেহ উদ্ধার হয়। আত্মীয়দের দাবি, বাবাকে জামিন করাতে না পেরে মনমরা ছিলেন বিশাল। তাঁদের সন্দেহ সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তবে নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, আদৌ এটি আত্মহত্যা, না কি খুন তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।