দিল্লিতে নাবালকের যৌন হেনস্থার চেষ্টা, খুনের অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
আট বছরের নাবালককে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, নাবালকের যৌন হেনস্থার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাতে বাধা পেয়েই এই খুন। পুলিশি জেরার মুখে অপরাধের কথা অভিযুক্ত স্বীকার করে নিয়েছে বলেও দাবি।
ঘটনাটি দিল্লির শাহিনবাগের। আবুল ফজল এনক্লেভের বাসিন্দা ওই নাবালক গত ৩১ অক্টোবর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে একটি নির্মীয়মাণ ভবন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। নাবালককে দিল্লির এমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ঘেঁটে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। ওই নাবালকের বাড়ি থেকে নির্মীয়মাণ বহুতল পর্যন্ত রাস্তার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তাতেই দেখা যায়, নাবালককে নিয়ে নির্মীয়মাণ ভবনে ঢুকছেন অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। ধৃতের নাম ফিদা হোসেন। তিনি জামিয়া এলাকার বাসিন্দা।
গ্রেফতারির পর তদন্তকারীদের অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তিনি ওই নাবালকের যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নাবালক তাতে বাধা দেয়। তাই রাগের মাথায় তিনি তাকে খুন করে ফেলেছেন। সামনেই পড়ে থাকা একটি পাথর দিয়ে নাবালকের মাথায় আঘাত করেন অভিযুক্ত। এর পর ঘটনাস্থল থেকে তিনি পালিয়ে যান। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নাবালকের পরিবারের সদস্যেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy