তরুণী চিৎকার করতেই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন কন্ডাক্টর। প্রতীকী ছবি।
দিল্লির সরকারি বাসে তরুণীর পাশে বসে হস্তমৈথুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। তরুণী প্রতিবাদ করতেই ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বাসের কন্ডাক্টর। ধরা পড়তেই যুবক হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। এই ঘটনার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে।
মঙ্গলবার রোহিণীর কাছে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি পরিবহণ নিগমের (ডিটিসি) বাসে। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই যুবকের বাড়ি বিহারে। তবে এই ঘটনায় কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। ফলে যুবককে আপাতত গ্রেফতার করা হয়নি।
তবে উত্তর রোহিণী থানার সাব-ইনস্পেক্টর সুমন জানিয়েছেন, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বয়ান বা অভিযোগ নেওয়ার জন্য তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বয়ান দিতে বা অভিযোগ জানাতে অস্বীকার করেছেন। যদি পুলিশ এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ পায়, তা হলে আইনি পদ্ধতিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তবে এই প্রথম নয়। বছর পাঁচেক আগে এমনই একটি ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছিল রাজধানীতে। সেটি ছিল ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস। একটি বেসরকারি বাসে এক তরুণীর পাশে বসে হস্তমৈথুন করার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তরুণী প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর চিৎকার-চেঁচামেচিতেও নির্বিকার ছিলেন ওই ব্যক্তি। চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে আরও নির্বিকার ছিলেন বাসের সহযাত্রীরা। শেষে নিজেই ওই ব্যক্তিকে শায়েস্তা করতে আসন ছেড়ে উঠে পড়েন তরুণী। চড় মেরে বাস থেকে নামিয়ে ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
শুধু দিল্লিই নয়, পশ্চিমবঙ্গও এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। কলকাতার বুকেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সেটাও ছিল ২০১৮ সাল। মে মাস। হেদুয়া থেকে প্রাইভেট টিউশন নিয়ে দমদমের বাড়িতে ফিরছিলেন উত্তর কলকাতার একটি কলেজে পড়া বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। ৩০বি/১ রুটের ওই বাসে এক বান্ধবীর সঙ্গে সামনের দিকের আসনেই বসেছিলেন তিনি। হঠাৎ এক ছাত্রীর নজরে পড়ে, পিছনের আসনে বসে থাকা এক প্রৌঢ় সহযাত্রী অদ্ভুত ভঙ্গিতে তাঁদের দিকে তাকিয়ে হস্তমৈথুন করছেন।
ওই ছাত্রী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘দুপুর তখন ১২টা হবে। টিউশন নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। হাতিবাগান ঢোকার আগে হঠাৎ দেখি আমাদের দেখিয়ে দেখিয়ে ওই লোকটি অমন করছে। আমি চিৎকার করি। কেউ কোনও প্রতিবাদ না করায় ভিডিয়ো করতে শুরু করি। তাতেও লোকটা থামেনি। আমার বন্ধু ভয় পাচ্ছিল। ও ভিডিয়ো করতে বারণ করে। এর পর ভয় পেয়ে আমরা দু’জনে মিলে চিৎকার করি। কিন্তু বাসের কোনও যাত্রীই বিষয়টা নিয়ে এগিয়ে আসেননি।’’ শ্যামবাজার থেকে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, ওই ব্যক্তির নাম অসিত রাই। বাড়ি হুগলির বৈদ্যবাটিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy