শাশুড়িকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া চলছিল যুবকের। সেই সময় শাশুড়ি ঝগড়া থামাতে আসেন। তাঁর সঙ্গেও জামাইয়ের বচসা শুরু হয়। সেই সময়েই ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাশুড়িকে আক্রমণ করেন ওই যুবক। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার। মৃতের বয়স ৬০ বছর। অভিযোগ, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে জামাইয়ের সদ্ভাব ছিল না। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হত। এমনকি, স্ত্রীকেও মারধর করতেন বলে অভিযোগ ওই যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার স্ত্রীর সঙ্গে কোনও বিষয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত। তাঁদের ঝগড়া ক্রমে তীব্র আকার ধারণ করছিল। অভিযোগ, স্ত্রীকে মারধরও করেছিলেন তিনি। চিৎকার শুনে ছুটে যান তাঁর শাশুড়ি। তিনি মেয়েকে বাঁচাতে দু’জনের ঝগড়া থামানোর জন্য উদ্যোগী হন। তখনই শাশুড়িয়ে আক্রমণ করেন যুবক।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাশুড়ির গায়ে একের পর এক কোপ মেরেছেন অভিযুক্ত। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা মহিলাকে বাঁচাতে পারেননি।
ঘটনার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করে মৃতের পরিবার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। কেন তিনি শাশুড়িকে খুন করলেন, মহিলার প্রতি তাঁর অন্য কোনও আক্রোশ ছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।